ভবানীপুরে ভোটের আগেই দিলীপ ঘোষকে বিদায় জানাল বিজেপি

Sukanta majumdar

নিউজ ডেস্ক: মাত্র রবিবার বাবুল কারনামা দেখেছেন রাজ্যবাসী। বিজেপির সাংসদ সোজা তৃণমূলে ঢুকেছেন। এর মাঝে নীরবে দলের ভিতর সাংগঠনিক রদবদলের পথ নিয়েছে প্রদেশ বিজেপি তা টের পাওয়া যায়নি। সোমবার দলটির রাজ্য সভাপতি অপসারিত হলেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপি ঘোষণা করেছে নতুন রাজ্য সভাপতি হচ্ছেন দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের সাংসদ ডা সুকান্ত মজুমদার।

Advertisements

যদিও দিলীপবাবুর হাতেই পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ঐতিহাসিক সফলতা অর্জন করে রাজ্যে বিরোধী দলের তকমা পেয়েছে। আরএসএসের আদর্শে জীবন চালানো অকৃতদার দিলীপবাবুকে দায়িত্ব দেওয়ার পর তিনি কার্যত পদ্ম শিবিরের মরা গাঙে জোয়ার এনেছেন। তবে প্রত্যাশামতো বিজেপি রাজ্যে সরকার গড়তে পারেনি। তবে নজির গড়ে বঙ্গ বিধানসভায় বিরোধী দল হয়।

   

আচমকা দিলীপ ঘোষকে কেন অপসারিত করা হলো? এটাই চরম চর্চিত প্রশ্ন। পুরোটাই সাংগঠনিক পদক্ষেপ বলে চিহ্নিত করেছে বিজেপি। দিলীপবাবুর তুলনায় বর্তমান বিজেপি রাজ্য সভাপতি ডা সুকান্ত মজুমদার অনেকটা নরম। দিলীপবাবু যেভাবে কড়া ভাষণেই অভ্যস্থ সুকান্তবাবু ততটা নন।

Advertisements

প্রশ্ন উঠছে, ভাবানীপুর বিধানসভার উপনির্বাচনের আগেই কেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি পদ থেকে দিলীপবাবুকে অপসারিত করা হলো? সূত্রের খবর, সাম্প্রতিক যে ভাঙন ধরেছে বঙ্গ বিজেপিতে তা রুখতে পারছিলেননা দিলীপ ঘোষ। তাঁর বিরুদ্ধে দলেরই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে অভিযোগের পাহাড় জমেছে।

বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দিলীপ ঘোষের সম্পর্কের ফাটল বেড়েছে। দু পক্ষ পরস্পরকে কটাক্ষ করেন অবিরত। বিভিন্ন জেলা থেকে দিলীপবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগের ফিরিস্তি আসছে। হাওয়া ঠান্ডা করতেই রাজ্য সভাপতি বদল করল বিজেপি।