২০২০ সালে পুরো বিশ্ব যখন কোভিড-১৯ মহামারির কারণে সংকটে ছিল। তখন ভারতীয় জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন বলিউড অভিনেতা সোনু সুদ (Sonu Sood)। লকডাউনের সময়ে অভিবাসী শ্রমিকদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়া থেকে তাদের খাবার দেওয়ার মতো মানবিক কাজে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে নিয়োজিত করেছিলেন সোনু। তার এসব উদ্যোগ তাকে মানুষের কাছে একেবারে ‘মসিহা’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। সেই সময় সোনু সুদ শুধু ভারতে নয়, বিদেশেও আটকে পড়া নাগরিকদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করেছিলেন।
এরপর থেকেই সোনু সুদের (Sonu Sood) রাজনীতি (Politics) নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়। অনেকেই মনে করেছিলেন সোনু সুদ রাজনীতিতে আসতে পারেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে তাকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সোনু সুদ সে সব প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। সম্প্রতি, আসন্ন ছবি ‘ফতেহ’ এর প্রচারের সময় সোনু সুদ রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি বলেন, “আমি মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) হওয়ার প্রস্তাব পেয়েছিলাম। যখন আমি না বললাম, তখন তারা আমাকে ডেপুটি সিএম,(Deputy CM) হওয়ার প্রস্তাব দেন। তাছাড়া, রাজ্যসভার সদস্য হওয়ার প্রস্তাবও ছিল। বড় বড় মানুষ আমাকে এসব প্রস্তাব দিয়েছিলেন।”
View this post on Instagram
রাজনীতিতে না যাওয়ার কারণ জানালেন সোনু সুদ
সোনু সুদ (Sonu Sood) আরও বলেন, “এটা একটি উত্তেজনাপূর্ণ সময় ছিল, যখন বড় বড় মানুষ আমার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন এবং আমাকে কিছু আলাদা করার জন্য বলেছিলেন। আমি সেই সময়েই বলেছিলাম, ‘আপনি যদি জনপ্রিয় হতে শুরু করেন, তো সেখানে অক্সিজেনের অভাব থাকে। আপনি উপরে উঠতে চান, কিন্তু কিছু চাপও থাকে।’ রাজনীতিতে যোগ দেওয়া অনেকেই চায়, কিন্তু আমি জানি যে, আমি কি কি কারণে সেখানে যাচ্ছি।”
তিনি আরও যোগ করেন, “আমি মনে করি রাজনীতিতে (Politics) মানুষ দু’টি কারণে যায়—একটি অর্থ উপার্জন করতে, আরেকটি ক্ষমতা অর্জন করতে। আমি এসবের জন্য পাগল নই। যতটা সাহায্য করতে পারি, আমি সেটা করি। কোনো লোভ নেই, এবং আমি জানি না, আমি সেই পৃথিবীতে কতটা আরামদায়ক হব। যদি কেউ আমাকে বলল, ‘এটা তোমাকে করতে হবে’, আমি তখন থেমে যাব। তখন আমি কাউকে সাহায্য করতে পারব না, আমি সেই পরিস্থিতি পছন্দ করি না।”
স্বাধীনতার মূল্যই সবচেয়ে বড়
সোনু সুদ (Sonu Sood) আরও বলেন, “আমার যদি অনেক নিরাপত্তা থাকে, দিল্লিতে বাড়ি থাকে, একটা সরকারি পোস্ট থাকে, এর মধ্যে অনেক শক্তি থাকতে পারে। কিন্তু আমি জানি, আমি এখন প্রস্তুত নই। হয়তো কয়েক বছর পর আমি রাজনীতি নিয়ে চিন্তা করতে পারব, কিন্তু এখন আমি স্বাধীনভাবে কাজ করতে চাই।”