রেখার জন্যই অমিতাভের সঙ্গে দূরত্ব? শত্রুঘ্নের বড় প্রকাশ

শত্রুঘ্ন সিনহা (Shatrughan Sinha) তার কঠোর ও স্পষ্টবাদী মন্তব্যের জন্য বলিউডে সুপরিচিত। বিভিন্ন বিষয়ে প্রবীণ অভিনেতা কোনো রাখঢাক না রেখে মত প্রকাশ করেন। ২০১৬ সালে…

shatrughan-sinha-allegation-rekha-break-friendship-amitabh-bachchan

short-samachar

শত্রুঘ্ন সিনহা (Shatrughan Sinha) তার কঠোর ও স্পষ্টবাদী মন্তব্যের জন্য বলিউডে সুপরিচিত। বিভিন্ন বিষয়ে প্রবীণ অভিনেতা কোনো রাখঢাক না রেখে মত প্রকাশ করেন। ২০১৬ সালে প্রকাশিত তার জীবনী “Anything But Khamosh” (অন্য কিছু নয়, চুপচাপ) বইটি তাঁর জীবনের অনেক অজানা কথা ও সম্পর্কের খোলাসা করেছে। এই জীবনীতে শত্রুঘ্ন অমিতাভ বচ্চনের (Amitabh Bachchan) সঙ্গে তার সম্পর্ক এবং ঝগড়ার কথা উল্লেখ করেছেন, যার জন্য তিনি রেখাকে (Rekha) দায়ী করেছেন। এছাড়াও, তিনি অভিনেত্রী রীনা রায়ের সঙ্গে তার সম্পর্কের কথাও খোলাখুলি লিখেছেন।

   

জীবনীতে শত্রুঘ্ন (Shatrughan Sinha) জানিয়েছেন, অমিতাভের (Amitabh Bachchan) সঙ্গে তার সম্পর্কের অবনতির পেছনে পরোক্ষভাবে রেখার (Rekha) ভূমিকা ছিল। তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘কালা পাথর’ ছবির শুটিংয়ের সময় রীনা রায়ের সঙ্গে তার গভীর বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল। তিনি প্রায়ই রীনার বাড়িতে যেতেন। কিন্তু রীনা কখনোই তাকে বাইরে এনে শত্রুঘ্ন বা অন্য কারো সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেননি। তিনি লিখেছেন, “ইন্ডাস্ট্রিতে সবাই জানত কে কোথায় যায়। রীনা যখন আমার মেকআপ রুমে থাকত, সবাই তা জানতে পারত। এসব কখনো লুকানো যায় না।” এই ঘটনা তার ও অমিতাভের মধ্যে দূরত্ব বাড়িয়েছিল বলে তিনি মনে করেন।

এক সাক্ষাৎকারে শত্রুঘ্ন (Shatrughan Sinha) রেখার (Rekha) সঙ্গে তার সম্পর্কের কথাও তুলে ধরেছেন। তিনি স্বীকার করেছেন তাদের মধ্যে চিন্তাধারার পার্থক্য ছিল। এই কারণে প্রায় ২০ বছর তারা একে অপরের সঙ্গে কথা বলেননি। তবে স্ত্রী পুনম সিনহার মধ্যস্থতায় তাদের মধ্যে পুনর্মিলন ঘটে। শত্রুঘ্ন নিজেই জানিয়েছেন তিনি একাধিকবার রেখার বিরুদ্ধে মৌখিকভাবে আক্রমণ করেছিলেন। কিন্তু রেখা কখনো তার সম্পর্কে খারাপ কিছু বলেননি।

বর্তমানে শত্রুঘ্ন সিনহার (Shatrughan Sinha) পরিবারের সঙ্গে রেখার (Rekha) সম্পর্ক অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ। সম্প্রতি তিনি শত্রুঘ্নের মেয়ে সোনাক্ষী সিনহার বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন। তার জন্মদিনের অনুষ্ঠানেও অংশ নিয়েছেন। এই ঘটনাগুলো প্রমাণ করে যে অতীতের তিক্ততা এখন আর নেই।