Sharmila Thakur: ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাবা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, তাঁর দাদার বংশধর আমরা। আমার ঠাকুরদার বাবা গুণীন্দ্রনাথ ঠাকুর। যিনি অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাই। তাঁরা দু’জনেই খুব ভালো পেইন্টার। জাপানি শিল্পীদের থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে যাঁরা তুলে ধরেছিলেন তাঁদের প্রতিভা। আমার সম্পর্ক সেদিক থেকেই। তখন ঠাকুর পরিবার একে অন্যের সঙ্গে ভীষণই ঘনিষ্ঠ ছিলেন। একে অন্যকে চিনতেন। এখন সবটা একটু এদিক ওদিক হয়ে গিয়েছে।’ সম্প্রতি, এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানালেন শর্মিলা ঠাকুর।
বাঙালি মায়ের ছেলের সইফ কি বাংলা জানে! এর উত্তরে শর্মিলা বললেন, ‘যতটুকু শেখানোর চেষ্টা করেছি ছেলেমেয়েদের শেখানোর। তবে সবটা যে পেরেছি, তা নয়। তবে বাংলার প্রতি আমার টান সবসময় থাকবে। সোহা বাংলা ছবিতে কাজ করেছে, তাই ও বাংলা একটু জানে। সইফ করেনি। তবে আমার পরিবার সম্পর্কে ওরা অবগত’।
প্রসঙ্গত, শর্মিলা হলেন বিখ্যাত ক্রিকেটার মনসুর আলি খান পাতৌদির স্ত্রী। ছেলে সইফ আলি খান হিন্দি জগতের সফল অভিনেতা, মেয়ে সোহা আলি খানও একজন নামি অভিনেত্রী। ২০০৪ সালের অক্টোবর থেকে ২০১১ সালের মার্চ পর্যন্ত ভারতীয় চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের প্রধান ছিলেন শর্মিলা। ২০০৫ সালের ডিসেম্বরে ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত ছিলেন। এরপর ২০০৯ সালের কান চলচ্চিত্র উৎসবেও জুরি বিচারকের আসনে বসেছিলেন। এরপর ২০১৩ সালে ভারত সরকারের তরফে ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদ্মভূষণ পুরস্কার পান শর্মিলা ঠাকুর।