Mumbai: মন্ত্রী নবাব মালিকের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সমীর ওয়াংখেড়ের স্ত্রীর

nabab malik Sameer Wankhede wife actress Kranti Redkar

News Desk, Mumbai: শাহারুখ পুত্র আরিয়ানকে গ্রেফতার করার পর খবরের শিরোনামে এসেছিলেন নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরোর জোনাল ডিরেক্টরে সমীর ওয়াংখেড়ে। কিন্তু সমীরের বিরুদ্ধে গত কয়েকদিন ধরে একাধিক গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিক। সমীর মন্ত্রীর করা অভিযোগকে আদৌ পাত্তা দেননি। যে কারণে তিনি কোনও পালটা প্রতিক্রিয়া জানাননি।

Advertisements

তবে সমীরের স্ত্রী ক্রান্তি কিন্তু আর চুপ করে থাকলেন না। সোমবার এক বিবৃতিতে ক্রান্তি বলেছেন, নবাব রীতিমতো তাঁদের হুমকি দিচ্ছেন। তাঁর স্বামী এবং পরিবারের নিরাপত্তা বিপন্ন। তাই মুম্বই পুলিশের কাছে ক্রান্তি নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন। মন্ত্রীর বিরুদ্ধে সমীরের স্ত্রী আরও অভিযোগ করেছেন, কয়েকদিন আগে তিনজন অজ্ঞাতপরিচয় লোক তাঁদের বাড়ির বাইরে রেকি করে গিয়েছে। এই সব লোকজন কখন কী করবে তা আগে থেকে বোঝা মুশকিল।

ক্রান্তি আরও বলেছেন, আমার স্বামীর বিরুদ্ধে যারা বিভিন্ন অভিযোগ করছে এবার তাদের বিরুদ্ধেও তদন্ত হবে। আমরা পুলিশকে সিসিটিভির ফুটেজ দেব। সেখানেই পুলিশ দেখতে পাবে আমাদের বাড়ির সামনে অজ্ঞাতপরিচয় লোকজন ঘোরাঘুরি করছে। কেন করছে সেটা জানা দরকার। আমাদের পরিবারের নিরাপত্তা আশঙ্কার মুখে। পুলিশের উচিত আমাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা। কারণ আমার বাচ্চারা ছোট।

Advertisements

অন্যদিকে মুম্বইয়ের প্রমোদতরী থেকে ধৃত অমিত কুমার নামে এক অভিযুক্তকে এদিন জামিন দিয়েছে বিশেষ আদালত। তার আগে বিশেষ আদালত গুরুত্বপূর্ণ কিছু মন্তব্য করেছে। আদালত বলেছে, শুধুমাত্র হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের ভিত্তিতে কাউকে মাদক সরবরাহ যুক্ত এটা বলা যায় না। হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের উপর নির্ভর করে কখনওই আরিয়ান বা তার বন্ধুদের মাদক সরবরাহকারী হিসেবে চিহ্নিত করা যায় না। কাউকে মাদক পাচারকারী হিসেবে চিহ্নিত করতে হলে তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণ থাকা দরকার। শুধুমাত্র হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের ভিত্তিতে কখনওই কাউকে মাদক পাচারকারীদের সঙ্গে যুক্ত বলা যায় না।

উল্লেখ্য, আরিয়ান, আরাবাজ মার্চেন্ট ও মুনমুন ধামেচার জামিনের আবেদন গত সপ্তাহেই মঞ্জুর করেছিল বম্বে হাইকোর্ট। সোমবার মাদক কাণ্ডে ধৃত আরও ৯ অভিযুক্তকেও জামিন দিল বিশেষ আদালত। বিশেষ আদালতের বিচারক ভিভি পাতিলের এই মন্তব্যে নিশ্চিত ভাবেই বিপদে ফেলবে এনসিবিকে। কারণ তদন্তকারী সংস্থা আরিয়ান-সহ অন্যদের বিরুদ্ধে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের ভিত্তিতেই মাদক কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ করেছিল।