বলিউডের সুপারস্টাররা প্রায়শই পাবলিক প্লেসে তাদের দেহরক্ষীদের (bodyguard) দ্বারা ঘেরা থাকে। এই দেহরক্ষীরা তারকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ২৪ ঘণ্টা প্রস্তুত থাকেন। তবে তাদের বিশাল বেতন নিয়ে বেশ কিছু গুঞ্জন রয়েছে। বিশেষ করে শাহরুখ খান ও সলমন খানের দেহরক্ষীদের বেতন (Bodyguard salary) নিয়ে অনেক আলোচনা চলছে। সম্প্রতি সেলিব্রিটি সিকিউরিটি কনসালট্যান্ট ইউসুফ ইব্রাহিম তারকা দেহরক্ষীদের বেতন সম্পর্কে কিছু তথ্য প্রকাশ করেছেন।
গুঞ্জন ছিল শাহরুখ খানের (Shah rukh Khan) দেহরক্ষী রবি সিং (Ravi Singh) বার্ষিক ২.৭ কোটি টাকা বেতন পান। অন্যদিকে সলমন খানের দেহরক্ষী শেরা বছরে ২ কোটি টাকা উপার্জন করেন। তবে ইউসুফ ইব্রাহিম (Yusuf Ibrahim) এসব গুঞ্জনের সত্যতা অস্বীকার করেছেন। সিদ্ধার্থ কান্নানের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, “আমরা কেউ জানি না যে দেহরক্ষীরা ঠিক কতটা আয় করেন। এগুলো অস্বীকারযোগ্য।”
রবি সিংকে নিয়ে তিনি বলেন, “রবি আগে আমার কোম্পানিতে কাজ করতেন। তবে শাহরুখ খানের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তিনি আমাদের সংস্থা ছেড়ে গেছেন।”
সলমন খানের (Salman Khan) দেহরক্ষী শেরার বেতন (Bodyguard salary) নিয়ে আলোচনা উঠলে ইউসুফ বলেন, “শেরার নিজের নিরাপত্তা সংস্থা রয়েছে এবং অনেক ব্যবসা আছে। তাই এটি সম্ভব যে তিনি তার ব্যবসা থেকে অনেক উপার্জন করতে পারেন।” তিনি আরও জানান, এসব গুজব সবসময় সত্যি নয় এবং অনেক কিছুই অনুমানভিত্তিক।
View this post on Instagram
অক্ষয় কুমারের দেহরক্ষী (Bodyguard salary) শ্রেসে থেলের বেতন নিয়েও বেশ কিছু গুজব শোনা গেছে। গুজব রয়েছে যে শ্রেসে থেলে প্রতি বছর ১.২ কোটি টাকা উপার্জন করেন। তবে ইউসুফ জানান, এই ধরনের ব্যক্তিগত তথ্য তার কাছে নেই। তিনি বলেন, “এটা সম্ভব নয় যে একজন দেহরক্ষী এত টাকা আয় করে। সাধারণত, মাসিক বেতন ১০ থেকে ১২ লাখ টাকার মধ্যে হতে পারে, তবে তা নির্ভর করে কাজের ধরণ এবং শুটিংয়ের পরিমাণের ওপর।”
ইউসুফ আরও জানিয়েছেন, সাধারণত বলিউডের অধিকাংশ তারকা দেহরক্ষীরা (Bodyguard salary) মাসে ২৫ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত বেতন পান। তবে সেলিব্রিটিরা তাদের দেহরক্ষীদের কিছু অতিরিক্ত খরচ যেমন মেডিকেল বিল এবং বাচ্চাদের স্কুল ফি মেটানোর প্রস্তাব দেন। তিনি এও বলেন, “এটা সম্পূর্ণ পেশাদারী সম্পর্ক। সেলিব্রিটিদের সঙ্গে দেহরক্ষীদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকে না, তবে তারা দীর্ঘমেয়াদী পেশাদারী সম্পর্ক বজায় রাখে।”
ইউসুফ (Yusuf Ibrahim) আরও উল্লেখ করেছেন যখন তিনি আলিয়া ভাট ও বরুণ ধাওয়ানের নিরাপত্তা প্রোভাইডার হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি স্মরণ করে বলেন, তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন, তখন এই দুই তারকা ও তাদের টিম তাকে সাহায্য করেছিল।