বলিউড অভিনেতা সাইফ আলি খান (Saif Ali Khan) বৃহস্পতিবার ভোররাতে তার মুম্বাইয়ের বাসভবনে ছয়বার হামলা ও ছুরিকাঘাতের শিকার হন। বর্তমানে তিনি লীলাবতী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিনেতার তার অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গেছে। এই ঘটনার পর মুম্বাই পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। পুলিশ (police investigation) এখন নানা দিক দিয়ে তদন্ত করছে।
পুলিশের (Saif Ali Khan) প্রাথমিক তত্ত্ব অনুযায়ী, সন্দেহ করা হচ্ছে হামলাকারী পরিচারিকার (Servant) সঙ্গে দেখা করার উদ্দেশ্য নিয়েই সাইফ আলি খানের (Saif Ali Khan) বাড়িতে প্রবেশ করেছিল। অভিযোগ তাদের মধ্যে একটি তর্ক শুরু হয়েছিল। এর পরে হামলাকারী পরিচারিকাকে আক্রমণ করার চেষ্টা করে। এই সময় সাইফ আলি খান ঘটনাস্থলে পৌঁছালে অভিযুক্তরা তাকে ছুরি দিয়ে আক্রমণ করে।
সাইফ আলি খানের (Saif Ali Khan) বাড়িটি ১২ তলায় অবস্থিত। অভিনেতার বিল্ডিংয়ের পিছনের দিক থেকে একটি প্রবেশপথ রয়েছে, যেখানে একজন প্রহরী অবস্থান করেন। এই প্রবেশপথের নিরাপত্তা দেয়াল মাত্র ৬ ফুট, যা সহজেই ঝাঁপিয়ে ভেতরে প্রবেশ করা সম্ভব। পুলিশি তদন্তে জানা গেছে এই প্রবেশপথটি নিরাপত্তার জন্য যথেষ্ট নয়, যা এই হামলার ক্ষেত্রে একটি বড় প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে।
তদন্তের আরও তথ্য অনুসারে, হামলাকারী প্রথমে গৃহকর্মীর ঘরে প্রবেশ করে। এর পরে শিশুদের ঘরে যায়। আওয়াজ শুনে কাজের মেয়ে (Servant) সেখানে পৌঁছালে, সে অচেনা ব্যক্তিকে দেখে চিৎকার করে। এরপর, হামলাকারী কাজের মেয়েকে আক্রমণ করে। আত্মরক্ষার জন্য সাইফ আলি খানকে (Saif Ali Khan) আক্রমণ করে। বর্তমানে পুলিশ এই বিষয়টি খতিয়ে দেখছে ।
ঘটনার পর, বান্দ্রার সতগুরু শরণ সোসাইটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফ আলি খান (Saif Ali Khan) তার পরিবারসহ ১২ তলায় থাকেন। বিল্ডিংয়ে প্রবেশের জন্য বেশ কয়েকটি নিরাপত্তা চেকপয়েন্ট পার করতে হয়। যদিও সিসিটিভি নজরদারি এবং নিরাপত্তার উপস্থিতি ছিল, তবুও হামলাকারীকে থামানো সম্ভব হয়নি। এমনকি ছুরি হামলার পরেও সে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এই নিরাপত্তা ত্রুটিগুলি নিয়ে তদন্ত চলছে। পুলিশ পুরো বিষয়টি বিশদভাবে পরীক্ষা করছে।