‘ছুরি ছিল মেরুদণ্ড থেকে 2 মিমি দূরে..’ ৩৩ ঘণ্টা পর সইফের স্বাস্থ্য আপডেট দিলেন চিকিৎসকরা

বৃহস্পতিবার রাতে এক বিপজ্জনক ঘটনার শিকার হন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা সইফ আলি খান (Saif Ali Khan) । রাত আনুমানিক ২টার দিকে এক অজ্ঞাত ব্যক্তি সাইফের…

Dr. Nitin Dange from Lilavati Hospital provides a health update on Saif Ali Khan after the recent attack. The superstar is recovering well and is praised as a real hero.

বৃহস্পতিবার রাতে এক বিপজ্জনক ঘটনার শিকার হন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা সইফ আলি খান (Saif Ali Khan) । রাত আনুমানিক ২টার দিকে এক অজ্ঞাত ব্যক্তি সাইফের বান্দ্রার বাড়িতে প্রবেশ করে। সেখানে কাজ করা কাজের মেয়ের সঙ্গে তর্ক শুরু করে। সাইফ এই তর্কে হস্তক্ষেপ করলে ওই ব্যক্তি তাকে ছুরি দিয়ে আক্রমণ করে। সাইফ গুরুতরভাবে আহত হন,দ্রুত তাকে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে (Lilavati Hospital)নিয়ে যাওয়া হয়।

হাসপাতালে পৌঁছানোর পর সইফের (Saif Ali Khan) জরুরি অস্ত্রোপচার করা হয়। মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালের (Lilavati Hospital)চিফ নিউরোসার্জন ডাঃ নিতিন ডাঙ্গে জানান, সাইফ এখন আগের তুলনায় অনেক ভালো আছেন। “আমরা তাকে হাঁটতে বলেছি এবং তিনি সহজেই হাঁটতে সক্ষম হয়েছেন। তার অবস্থা, ক্ষত এবং আঘাতের উপর ভিত্তি করে তাকে আইসিইউ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, তবে তাকে এখনো কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে,” বলেন ডাঃ ডাঙ্গে। তিনি আরও বলেন, সাইফকে বিশ্রাম নিতে বলা হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহ তার কার্যকলাপ সীমিত রাখা হবে। এই খবরের পর সাইফ আলি খানের ভক্তরা একে একে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন। 

   

সাইফের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি (health update) নিয়ে হাসপাতালের (Lilavati Hospital) চিফ অপারেটিং অফিসার নীরজ উত্তমানি জানান, “সাইফ আলি খান একজন সত্যিকারের নায়ক, তার অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। তাকে আইসিইউ থেকে সাধারণ রুমে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। আমি প্রথম ডাক্তার ছিলাম যে তাকে হাসপাতালে দেখে ছিলাম। যখন সাইফ সাহাব হাসপাতালে এসেছিলেন, তিনি রক্তে ভেজা ছিলেন এবং তার ছেলে তৈমুর তার সঙ্গে ছিলেন। তিনি শুধু সিনেমার নায়কই নন, বাস্তব জীবনের নায়কও। এখন তিনি অনেক ভালো আছেন এবং সুস্থ হয়ে উঠছেন।”

চিকিৎসকরা জানান, সইফ আলি খানের (Saif Ali Khan) মেরুদণ্ড থেকে ২.৫ ইঞ্চি দীর্ঘ একটি ছুরি বের করা হয়েছে। তারা বলেন, এই ছুরিটি তার স্পাইনাল কর্ড থেকে মাত্র ২ মিলিমিটার দূরে ছিল, যা তার জীবনকে মারাত্মকভাবে বিপন্ন করতে পারত। ছুরিটি আরও গভীরে গেলে সাইফের জীবন বাঁচানো সম্ভব হত না, জানান চিকিৎসকরা। তবে অস্ত্রোপচারের পরে এখন সাইফ বিপদমুক্ত এবং সুস্থ হচ্ছেন।

হামলার পর মুম্বাই পুলিশ তৎপরতা শুরু করে এবং ৩৩ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে সফল হয়। সিসিটিভি ফুটেজে অভিযুক্তকে সিঁড়ি দিয়ে নামতে দেখা যায়, যার ভিত্তিতে পুলিশ তাকে শনাক্ত করে। এই মামলার সমাধান দ্রুত করার জন্য মুম্বাই পুলিশ ২০টি আলাদা টিম গঠন করে এবং প্রতিটি দলকে নির্দিষ্ট দায়িত্ব প্রদান করা হয়। ফরেনসিক টিম এবং ডগ স্কোয়াড থেকেও প্রচুর সাহায্য পায় পুলিশ।