গলায় তোয়ালে, পিঠে ব্যাগ… সইফের উপর হামলার ভিডিও ফাঁস

রাত্রি তখন আড়াইটে৷ বলিউড অভিনেতা সইফ আলি খানের (Saif Ali Khan) বাড়িতে ঢুকে হামলা চালায় এক দুষ্কৃতী৷ ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় তাঁকে৷ রক্তাক্ত অবস্থায়…

Watch the CCTV footage of the accused in the Saif Ali Khan attack case. The video reveals key details about the attacker’s actions.

রাত্রি তখন আড়াইটে৷ বলিউড অভিনেতা সইফ আলি খানের (Saif Ali Khan) বাড়িতে ঢুকে হামলা চালায় এক দুষ্কৃতী৷ ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় তাঁকে৷ রক্তাক্ত অবস্থায় মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় অভিনেতাকে৷ এই হামলার কয়েক ঘণ্টা পর, সিসিটিভি ফুটেজে অভিযুক্তের (accused)প্রথম ছবি প্রকাশিত হয়েছে।

ভিডিওতে ফুটেজে (CCTV footage) দেখা যাচ্ছে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, নামার সময় সিসিটিভি ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে আছে অভিযুক্ত। অভিযুক্তের (accused)গলায় একটি লাল রঙের তোয়ালে এবং পিছনে একটি ব্যাগ দেখা যাচ্ছে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা টাইমস্ট্যাম্প অনুযায়ী, এই ভিডিওটি দুপুর ২টা ৩৩ মিনিটের। মুম্বাই পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করেছে। ভিডিওতে অভিযুক্তের মুখ স্পষ্টভাবে দেখা গেছে। 

   

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হামলাকারী চুরির উদ্দেশ্যেই সাইফের (Saif Ali Khan) বাড়িতে প্রবেশ করেছিলেন। তিনি ফায়ার এক্সিট সিঁড়ি দিয়ে বাড়িতে ঢোকেন। ওই সময় গৃহকর্মীর চিৎকার শুনে সাইফ আলি খান বেরিয়ে আসেন। সাইফ চোরকে ধরার চেষ্টা করেন। এই সময়ে হামলাকারী তাকে ছুরি দিয়ে আক্রমণ করে পালিয়ে যায়।

সইফকে (Saif Ali Khan) ছয়বার ছুরিকাঘাত করা হয়। স্বামী সাইফকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে ভয় পেয়ে কারিনা কাপুর প্রথম ফোন করেছিলেন সাইফের বড় ছেলে ইব্রাহিম আলী খানকে। এরপর কারিনা শ্যালিকা সোহা আলি খান ও তার স্বামী কুণাল খেমুকেও ফোন করেন।

সূত্রের খবর, ইব্রাহিম আলি খান কয়েক মিনিটের মধ্যেই অটোতে করে ভবনের নীচে পৌঁছে যান। হামলার সময় বাড়িতে কোনো চালক ছিল না। একই অটোতে সাইফকে নিয়ে তৎক্ষণাৎ লীলাবতী হাসপাতালে পৌঁছান ইব্রাহিম। এরপর অন্য গাড়ি থেকে অন্য কর্মীরাও সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে পৌঁছে যান। হাসপাতালে সাইফের অস্ত্রোপচার করা হয়, এবং বর্তমানে তিনি শঙ্কামুক্ত। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে এবং তার অবস্থার উন্নতি হচ্ছে।

মুম্বাই পুলিশ জানিয়েছে যে তারা সিসিটিভি ফুটেজের (CCTV footage) মাধ্যমে সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে চিহ্নিত করেছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে, বান্দ্রার পুলিশ এই হামলার খবর পায় এবং তদন্ত শুরু করে। সিসিটিভি ফুটেজে সন্দেহভাজন ব্যক্তির মুখ স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে। পুলিশ তার ছবি প্রকাশ করেছে। এ ঘটনায় পুলিশ স্থানীয় এবং অপরাধ শাখার ১০টি দল গঠন করেছে এবং সন্দেহভাজনকে ধরার চেষ্টা করছে।