বর্তমানে বিনোদনের জগতের অনেকেই রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন এবং দাপটের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। তবে, কিছু শিল্পী এখনও রাজনীতি থেকে দূরে থাকতেই পছন্দ করেন। এমনই একজন হলেন বিখ্যাত অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত (Rituparna Sengupta)। সম্প্রতি, চুঁচুড়া উৎসবে এক প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানিয়ে দিলেন, রাজনীতিতে তাঁর কোনো আগ্রহ নেই। মুখ্যমন্ত্রী যদি তাকে ডাকেন, তবে তিনি রাজনীতির ময়দানে না যাওয়ার কথা স্পষ্টভাবে জানান। চুঁচুড়া বক্সিং গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত চুঁচুড়া উৎসবে উপস্থিত ছিলেন ঋতুপর্ণা।
এদিন, ঋতুপর্ণা (Rituparna Sengupta) যখন চুঁচুড়া উৎসবে হাজির হন, তখন সেখানে উপস্থিত দর্শকরা তাকে এক প্রশ্ন করেন— যদি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে রাজনীতিতে আসার জন্য ডাকেন, তাহলে কি তিনি রাজনীতি করবেন? ঋতুপর্ণার (Rituparna Sengupta) জবাব ছিল একেবারে সোজাসাপটা, “আমি রাজনীতির কিছুই বুঝি না, আমি শিল্পী হিসেবেই মানুষের মনে থাকতে চাই।” তিনি আরও বলেন, “আমি যদি মুখ্যমন্ত্রীকে এই বিষয়ে কিছু বলতে যাই, তবে আমি তাঁকে বুঝিয়ে বলব যে আমি রাজনীতিতে যোগ দিতে পারব না।”
এটি ঋতুপর্ণার স্পষ্ট অবস্থান ছিল যে তিনি শুধুমাত্র অভিনয়ের মাধ্যমে মানুষের মন জয় করতে চান এবং রাজনীতির ময়দানে পা রাখতে চান না। তাঁর এই বক্তব্য আবারও প্রমাণ করে যে অনেক শিল্পী নিজেদের পেশা নিয়ে সন্তুষ্ট এবং কোনো ধরনের রাজনৈতিক প্রভাব থেকে দূরে থাকতে চান।
এদিকে, চুঁচুড়া উৎসবে উপস্থিত ছিলেন আরেকজন জনপ্রিয় তারকা সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নিজের শাড়ি ও প্রসাধনী দ্রব্যের স্টল বসিয়েছিলেন। রচনা জানিয়েছেন, যাঁরা তাঁর স্টলে কেনাকাটা করবেন, তাঁদের জন্য ১০ শতাংশ ছাড় এবং আরও বড় ছাড় দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। বিশেষত, যাঁরা বেশি কেনাকাটা করবেন, তাদের জন্য আকর্ষণীয় অফারও রয়েছে। এমনকি, কিছু সৌভাগ্যবান নারী বিনামূল্যে শাড়িও পেতে পারেন। এই ধরনের অফার দিয়ে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় মহিলাদের স্বাবলম্বী হওয়ার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছেন। তিনি জানালেন, তার দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা রয়েছে, যেখানে স্থায়ী দোকান খোলার কথাও ভাবছেন।
রচনা আরও জানান, তার এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য মহিলাদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা দেওয়া এবং তাদের শাড়ি ও প্রসাধনী বিষয়ে সচেতন করা। তিনি মনে করেন, যদি মহিলারা স্বাবলম্বী হন, তবে তারা সমাজে আরও শক্তিশালীভাবে নিজেদের অবস্থান তৈরি করতে পারবেন।
চুঁচুড়া উৎসবে ঋতুপর্ণা ও রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতি, তাঁদের বক্তব্য এবং বিভিন্ন উদ্যোগ এক নতুন আঙ্গিকে এই উৎসবের আলোচনায় যোগ দিয়েছে। যেমন ঋতুপর্ণা শিল্পী হিসেবে মানুষের কাছে সবার ভালোবাসা পেতে চান, তেমনি রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় মহিলাদের জন্য আরও সুযোগ তৈরি করতে চান। এই দুই তারকার উপস্থিতি এবং উদ্যোগের মধ্য দিয়ে চুঁচুড়া উৎসব এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি পেতে চলেছে, যেখানে বিনোদন ও সামাজিক সচেতনতার মেলবন্ধন ঘটছে।