মুম্বাইয়ে ‘সে*ক্স র‍্যাকেট অভিযানে গ্রেফতার বাংলার অভিনেত্রী

সিনেমা, টিভি সিরিয়ালে সুযোগ পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে তরুণীদের ব্যবহার করে যৌনচক্র চালানোর অভিযোগে নাম জড়াল বাঙালি অভিনেত্রীর (Prostitution Racket Busted)। সে*ক্স র‍্যাকেট চালানোর অভিযোগে…

মুম্বাইয়ে ‘সে*ক্স র‍্যাকেট অভিযানে গ্রেফতার বাংলার অভিনেত্রী

সিনেমা, টিভি সিরিয়ালে সুযোগ পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে তরুণীদের ব্যবহার করে যৌনচক্র চালানোর অভিযোগে নাম জড়াল বাঙালি অভিনেত্রীর (Prostitution Racket Busted)। সে*ক্স র‍্যাকেট চালানোর অভিযোগে ৪১ বছরের ওই অভিনেত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা যাচ্ছে, মহারাষ্ট্রের ঠাণে থেকে গ্রেফতার হওয়া ওই মহিলার নাম অনুষ্কা মণিমোহন দাস (Anushka Moni Mohan Das)। বাংলা ছবি লোফারে কাজ করেছেন তিনি। এছাড়া বেশ কিছু অ্যাড ফিল্ম এবং সিনেমাতেও কাজ করেছিলেন ধৃত অভিনেত্রী। মুম্বইয়ের মীরা রোডের কাছে ঠাকুর মলে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখানেই সে*ক্স র‍্যাকেটের হদিশ পায় পুলিশ। পুলিশের দাবি মহিলাদের দেহ ব্যবসায় নামানোর চক্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ওই ধৃত অভিনেত্রী।

টলিউডেও কাজ করেছেন ৪১ বছর বয়সী অভিনেত্রী অনুষ্কা মণি মোহনদাস। বাংলায় হিট সিনেমা লোফারে অভিনয় করেছিলেন। তিনি রুপোলি জগতের বেশ পরিচিত নাম। হনি সিংহ, মিকা সিংহ, উদিত নারায়ণের সঙ্গে মঞ্চে পারফর্ম করেছেন।

   

এর মধ্যে অনুষ্কা মণি মোহনদাসের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ জমা পড়ে। অভিযোগ ওঠে যে অভিনয়ের টোপ দিয়ে অর্থের বিনিময়ে তরুণীদের একটি সুপরিকল্পিত দেহব্যবসার চক্রে নামাচ্ছেন তিনি। এরপর পুলিশ ফাঁদ পাতে। পুলিশ জানিয়েছে যে দুই পুলিশকর্মী খদ্দের সেজে অনুষ্কার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপর ধৃত ওই মহিলা সরাসরি দেখা করে টাকা নেওয়ার জন্য তাঁদের একটি জায়গায় আসতে বলেন। এরপর সেখানেই হাতেনাতে তাঁকে ধরে ফেলা হয়। এই সূত্রেই অভিনয় জগতে পা রাখতে চাওয়া দুই তরুণীকেও উদ্ধার করা হয়েছে। এরপরই পুলিশের তরফ থেকেই এই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আনা হয়।

Advertisements

বসই-ভিরার অঞ্চলের অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার মদন বল্লাল বলেছেন, ‘আমাদের দল নির্ধারিত স্থানে হানা দেয় এবং অভিযুক্তকে ছদ্মবেশী ক্রেতার কাছ থেকে টাকা নেওয়ার সময় হাতেনাতে ধরে ফেলে।’ এসিপি বল্লাল আরও বলেন, ‘এই অপরাধের গভীরতা অনেক বেশি। এর সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য ব্যক্তিদের খোঁজে তদন্ত চলছে।’ অনুষ্কা দাসের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ১৪৩(৩) অনুযায়ী মানুষ পাচারের মামলা রুজু করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রযোজ্য হয়েছে অনৈতিক দেহব্যবসা প্রতিরোধ আইন (PITA)-এর ধারাও।

অভিযানের সময় উদ্ধার হওয়া দুই মহিলাও টেলিভিশন সিরিয়াল ও বাংলা সিনেমায় অভিনয় করেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁরা এই চক্রের শিকার হয়েছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। তাঁদের উদ্ধার করে একটি হোমে পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।