নিউজ ডেস্ক: বহু প্রতীক্ষিত বাংলাদেশের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ বিতরণের জন্য চুল্লি স্থাপন হলো। আনুষ্ঠানিক ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘পরমাণু শক্তি আমরা শান্তির জন্যই ব্যবহার করব। পরমাণু শক্তি দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। সেটা গ্রামের মানুষের কাছে যাবে। তাদের আর্থ-সামাজিক উন্নতি হবে।’
রবিবার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম পারমাণবিক চুল্লিপাত্র স্থাপন কাজের উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা। ঢাকায় গণভবন থেকে ভিডিও কানফারেন্সের মাধ্যমে এই কাজের উদ্বোধন করেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আশা করি, ২০২৩ সালের মধ্যে এখান থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং ২০২৪ সালে দ্বিতীয় ইউনিট শুরু করতে পারব।’
রাশিয়ার সহযোগিতা এই পরমাণু বিদ্যুত কেন্দ্র হচ্ছে। শেখ হাসিনা বলেন, আমি যখন রাশিয়ায় যাইয়, তাদের রাষ্ট্রপতি পুতিনের সঙ্গে বিষয়টি আলাপ হয়। তিনি আমাদের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র করে দেবেন বলে জানান।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র হচ্ছে ২.৪ গিগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি পরিকল্পিত পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এটি বাংলাদেশের পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুরে নির্মীত হচ্ছে। এটি বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র যার প্রথম ইউনিট ২০২৩ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করবে। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি রাশিয়ার রোসাটোম স্টেট অ্যাটমিক এনার্জি কর্পোরেশন কর্তৃক নির্মিত হচ্ছে।
সম্প্রতি রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মকর্তাদের জন্য ক্রয় করা আসবাবপত্রের হিসাবে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠে। এরমধ্যে সব থেকে আলোচিত একটি বালিশের দাম দেখানো হয় প্রায় পাঁচ হাজার টাকা। সেই বালিশ এবং নিচ থেকে উপরে উঠানোর খরচ দেখানো হয়েছে প্রায় সাতশো টাকা। এটি নিয়ে সারা দেশজুড়ে আন্দোলনের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত শুরু করে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।