বাইডেন সাক্ষাতে শীঘ্রই মার্কিন মুলুকে যাবেন মোদী

নিউজ ডেস্ক: জো বিডেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের পদে বসার পর মাত্র তিনবার সাক্ষাৎ হয়েছিল মোদী-বাইডেনের। চলতি বছরের মার্চে কোয়াড সম্মেলন, এপ্রিলে জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন এবং…

বাইডেন সাক্ষাতে শীঘ্রই মার্কিন মুলুকে যাবেন মোদী

নিউজ ডেস্ক: জো বিডেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের পদে বসার পর মাত্র তিনবার সাক্ষাৎ হয়েছিল মোদী-বাইডেনের। চলতি বছরের মার্চে কোয়াড সম্মেলন, এপ্রিলে জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন এবং জুন মাসে জি-৭ শীর্ষ সম্মেলন। যদিও করোনা অতিমারির প্রভাবে প্রত্যেকবারই দুই রাষ্ট্রনেতা মুখোমুখি হয়েছিলেন ভার্চুয়ালি। 

আরও পড়ুন তালিবান সরকার: রাজনৈতিক জীবনে কঠিনতর সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন মোদী

   

এবার সমস্ত কিছু ঠিক থাকলে কিছুদিনের মধ্যেই মুখোমুখি সাক্ষাৎ হবে মোদী-বাইডেনের। কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ২২-২৭ সেপ্টেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে যেতে পারেন নরেন্দ্র মোদী। সেক্ষেত্রে করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর তাঁর প্রথম বিদেশ সফরই শুধু নয়, ট্রাম্পকে হটিয়ে জো বাইডেন আমেরিকার প্রেসিডেন্টের পদে বসার পর প্রথমবার মুখোমুখি সাক্ষাৎ হবে মোদীর সঙ্গে।

আরও পড়ুন নতমস্তকে বাইডেন: প্রবীণ কমিউনিস্ট ভিয়েতকং গেরিলারা ফিরলেন সোনালি অতীতে

এর আগে জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনের জন্য মোদির মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভারতজুড়ে করোনা সংক্রমণের কারণে সফরটি বাতিল করতে হয়েছিল। অন্যদিকে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি এবং তালিবানদের সরকার গঠনের প্রেক্ষিতে মোদীর এই সফর বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। বিডেনের সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি তিনি মার্কিন প্রশাসনের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গেও গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করবেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Advertisements

শেষবার ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে আমেরিকা সফরে গিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। আমেরিকায় ভোটের আগে সেই সফরে গিয়ে ‘আবকি বার ট্রাম্প সরকার’ বলে ডেমোক্রেটিক পার্টির জন্য ভোটও চেয়েছিলেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত ক্ষমতায় এসেছে রিপাবলিক, প্রেসিডেন্ট হয়েছেন জো বাইডেন। সেদিক থেকেই মোদীর এই সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।

অন্যদিকে, তালিবানদের কাবুল দখল, আফগানিস্তানে শরিয়তি আইন প্রতিষ্ঠা, সরকার গঠন নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেননি নরেন্দ্র মোদী। ভারতীয়দের উদ্ধারে কেন্দ্রীয় সরকার সমস্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিলেও সরকারিভাবে কোনও মন্তব্য আসেনি প্রধানমন্ত্রী তরফ থেকে। কিন্তু, কাশ্মীরের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে তালিবানদের বিভিন্ন মন্তব্যে ইতিমধ্যেই চাপ বেড়েছে নয়াদিল্লির ওপর।