যীশু-নীলাঞ্জনার বিচ্ছেদে নতুন তত্ত্ব, সব জেনেও কেন নীরব যীশু?

সম্প্রতি বহু মাস ধরে চর্চায় রয়েছে যীশু ও নীলাঞ্জনা (Jisshu Nilanjanaa)। এই বছরের মার্চ মাসে ছিল যীশু ও নীলাঞ্জনার বিবাহবার্ষিকী। সেদিন গুগুলে ট্রেন্ড করে ‘কবে…

Jisshu Sengupta, Nilanjana and Shinal Surti

short-samachar

সম্প্রতি বহু মাস ধরে চর্চায় রয়েছে যীশু ও নীলাঞ্জনা (Jisshu Nilanjanaa)। এই বছরের মার্চ মাসে ছিল যীশু ও নীলাঞ্জনার বিবাহবার্ষিকী। সেদিন গুগুলে ট্রেন্ড করে ‘কবে বিবাহবিচ্ছেদ হচ্ছে যীশু ও নীলাঞ্জনার?’ সেই সময়তেই গুঞ্জন শুরু হয় তাঁদের আলাদা হওয়া নিয়ে। শোনা যায় মুম্বাইতে শুটিং করা কালীন তাঁর আপ্তসহায়ক শিনাল সুর্তির সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন যীশু।

   

সম্প্রতি সোশাল মিডিয়াতে গুজব রটে যে শিনাল নাকি সন্তানের মা এখন শোনা যাচ্ছে যে সব গুজবই নাকি ভুয়ো। আসলে, স্ত্রীয়ের আধিপত্যের কারণেই নাকি ভাঙতে বসেছে পরিবার। এই কারণেই দুজনের মধ্যে বাড়ছিল দূরত্ব এবং বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে যীশু-শিনালের। স্ত্রীয়ের আচরণ নাকি সহ্য করতে পারছিলেন না যীশু। যীশুর ঘনিষ্ট বন্ধুদের দাবি এই সম্পর্কের খবর সম্পূর্ণ ভুয়ো। তাঁরা ও বলেছেন যে সরাসরি সোশাল মিডিয়াতে কিছু না বললেও, গুজব রটানোর পেছনে পরোক্ষ মদত ছিল নীলাঞ্জনার।

তবে এটাই যদি কারণ হয়ে থাকে কেন সব জেনেও নীরব ছিলেন অভিনেতা? জানা গিয়েছে যে দুই মেয়ের কথা মনে রেখেই মন্তব্যে নারাজ অভিনেতা। এই কারণেই তিনি কোনও মন্তব্য করেননি। এটাও জানা গেছে যে তাঁর দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রেও পিছুপা হননি যীশু। যাতে স্ত্রী ও মেয়েদের যাতে ভবিষ্যতে কোনও সমস্যা না হয়, তাই নিজের প্রযোজনা সংস্থা-সহ যাবতীয় সম্পত্তি নাকি স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে লিখে দিয়েছেন অভিনেতা। তবে বর্তমানে বাড়িতে থাকছেন না যীশু। তিনি এখন রয়েছেন মুম্বাইয়ে।

মির্জাপুর থেকে বাদ পড়ছেন পঙ্কজ ত্রিপাঠি, বদলে আসছেন হৃত্বিক?

সম্প্রতি যীশু সেনগুপ্ত ও নীলাঞ্জনা শর্মার বিচ্ছেদের গুজব রটে সোশাল মিডিয়াতে। এই বিষয়ে প্রকাশ্যে কিচ্ছু না বললেও, যীশুকে (Jisshu Sengupta) সোশাল মিডিয়াতে আনফলো করেন স্ত্রী নীলাঞ্জনা (Nilanjanaa Sharma)। নিজের পদবি থেকে সেনগুপ্তও সরিয়ে ফেলেন তিনি। এর সঙ্গে তিনি মুছে ফেলেছেন যীশুর সঙ্গে তাঁর অধিকাংশ ছবি। এছাড়াও একটি সাম্প্রতিক পোস্টে দুই মেয়ে সারা, জারা, এবং বোন চন্দনাকে উল্লেখ করেন নীলাঞ্জনা। সেই পোস্টে কোথাও ছিল না যীশুর নাম।

এখন মূলত হিন্দি ও দক্ষিণী ইন্ডাষ্ট্রিতেই কাজ করেন যীশু। ফলে কলকাতায় কমই আসেন তিনি। কিন্তু শোনা যায় এলেও তিনি তাঁর লেক গার্ডেন্সের বাড়িতে থাকছেন না। বোঝা যাচ্ছে আপাতত আলাদাই থাকছেন দুজনে। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্টে চলতি বছর কাছের মানুষদের হারানোর কথা লেখেন নীলাঞ্জনা।

তাঁর পোস্টে লেখা ছিল “এই বছরটা জুড়ে থাকল একের পর এক হারানো, একটার পর একটা ক্ষতিতে, একের পর এক যুদ্ধতে। কঠিন সময় জীবনের আসল রং দেখতে পেলাম। দেখলাম, ভেঙে পড়লেও তা সুন্দর থাকা যায়, জানলাম আমায় ভালবাসার এবং ঘিরে রাখার কত মানুষ আছেন, আমার জীবনের শক্তির স্তম্ভ, হৃৎস্পন্দন হল সারা, জারা, এবং চন্দনা। তোমাদের ভালোবাসি। যাঁরা যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলেন তাঁদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এই কঠিন সময় পেরিয়ে ফিরে আসার জন্য একটু সময় নিচ্ছি।” জীবনের সবচেয়ে অন্ধকার সময় তোমাকে সবথেকে শক্তিশালী করে তোলে।”

সেই পোস্টে দুই মেয়ে সারা, জারা ও বোন চন্দনার নাম লিখলেও কোথাও লেখেননি যীশুর নাম। এই পোস্টার মন্তব্য বিভাগে মেয়ে সারা লেখেন, “তোমাকে নিয়ে গর্বিত মা’। বড় মেয়ে মাকে সমর্থন করলেও, দায়িত্ব পালনে পিছুপা হচ্ছেন না যীশু।