সান-বাংলার নতুন পারিবারিক ধারাবাহিকের মুখ্য ভূমিকায় শ্রীমা-সৌরজিৎ

শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস এর প্রযোজনায় নতুন ধারার পারিবারিক গল্প নিয়ে ধারাবাহিক আসছে সান বাংলায়। ধারাবাহিকের নাম ‘বসু পরিবার'(Basu poribar)। মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন শ্রীমা ভট্টাচার্য(Shreema Bhattarchay)…

shreema bhattarchaya and sourojet

শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস এর প্রযোজনায় নতুন ধারার পারিবারিক গল্প নিয়ে ধারাবাহিক আসছে সান বাংলায়। ধারাবাহিকের নাম ‘বসু পরিবার'(Basu poribar)। মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন শ্রীমা ভট্টাচার্য(Shreema Bhattarchay) এবং সৌরজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়(sourojet Bandhopadhay)।

‘বসু পরিবারের’ গল্প অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক, অঞ্জন বসুকে কেন্দ্র করে আবর্তিত। অঞ্জনবাবু আর তার স্ত্রী মীনাক্ষী দেবী তিন ছেলে এবং দুই মেয়েকে নিয়ে সংসার করেন। এই পরিবারের বেশির ভাগ সন্তানেরাই সুপ্রতিষ্ঠিত, তাদের কনিষ্ঠ পুত্র বাদে। তবে একটি পারিবারিক দুর্ঘটনার পর বাবা মার পাশে দাঁড়াতে অস্বীকার করে এই সুপ্রতিষ্ঠিত সন্তানেরা। এই পরিস্থিতিতে তাদের পাশে এসে দাঁড়ায় তাদের কনিষ্ঠ সন্তান,দীপ্তেশ ওরফে দীপু ।

   

দীপুর চরিত্রে রয়েছেন সৌরজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। পরোপকারী বলে পরিচিত দীপু, সংসাররের ভাঙ্গন ঠেকাতে বাবা মায়ের পাশে এসে দাঁড়ায় । চরিত্র সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে সৌরজিৎ জানান, “পড়াশোনায় ভাল না হওয়ার কারণে তার কাছে কোনও ডিগ্রি নেই। ফলে ভাল চাকরি না পেলেও সে নিজেকে যতটা সম্ভব কাজে লাগানোর চেষ্টা করে। যে কোনও ছোটখাটো কাজও করে। হাতের কাজ আর ক্রিকেটে সে দক্ষ। পাড়ার সকলের অসুবিধায় এক কথায় পাশে দাঁড়ায়। দীপুর জন্য তার বাবা মা সবকিছু।’

দীপুর পাশে এসে দাঁড়ায় নীলা। নীলার চরিত্রে রয়েছেন শ্রীমা ভট্টাচার্য। শ্রীমা তার চরিত্র সম্পর্কে বলেন, ‘নীলার চরিত্রটা বেশ মজার। সে অত্যন্ত প্রাণোচ্ছ্বল, এবং সৎ । ভুলকে ভুল বলতে জানে। সত্যের জন্য লড়াই করতে সে ভয় পায় না। তবে জীবনে তার একাধিক প্রতিকূলতা রয়েছে। তবে নীলা এমন একজন যে সকলকে আগলে রাখতে জানে।” সৌরজিৎ ও শ্রীমা ছাড়াও ধারাবাহিকে দেখা যাবে অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায়, কৌশিকী গুহ, অনিমেষ ভাদুড়ী, সায়ন্তনী মল্লিক, কৌশিক দাস, শ্রীতমা রায়চৌধুরী, দীপ্সিতা মিত্র, রাজর্ষি সহ অভিনেতাদের ।

নির্মাতারা জানিয়েছেন যে ‘বসু পরিবার’ কোনও নারীকেন্দ্রিক গল্প নয়। বরং এটি একটি পারিবারিক গল্প। এই ধারাবাহিকের পরিচালনার দায়িত্বে থাকছেন সুমাল্য ভট্টাচার্য এবং ক্রিয়েটিভ পরিচালক হিসেবে থাকছেন অদিতি রায়। কাহিনী লিখেছেন পৌলমী ভৌমিক।