নানা পাটেকরের জুতো তুলে সলমনকে হিরো বানালেন সুরাজ!

বলিউডের জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নির্মাতা সুরাজ বরজাতিয়া (Suraj Barjatya)। শুধু অসাধারণ সিনেমার জন্যই নয়, তার নম্র ও শালীন আচরণের জন্যও মানুষের কাছে বিশেষভাবে পরিচিত। দীর্ঘদিন ধরে…

Suraj Barjatya's Gesture: Nana Patekar’s Shoe Story and Salman’s Heroic Role

বলিউডের জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নির্মাতা সুরাজ বরজাতিয়া (Suraj Barjatya)। শুধু অসাধারণ সিনেমার জন্যই নয়, তার নম্র ও শালীন আচরণের জন্যও মানুষের কাছে বিশেষভাবে পরিচিত। দীর্ঘদিন ধরে ফ্যামেলি ড্রামা যেমন ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’, ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’, এবং ‘প্রেম রতন ধন পায়ো’ ইত্যাদি ছবির জন্য খ্যাতি অর্জন করেছেন সুরাজ বরজাতিয়া (Suraj Barjatya)।

পাশাপাশি তিনি অত্যন্ত ভদ্র ও নীতিবান ব্যক্তি (Humble Gesture) হিসেবেও পরিচিত। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা নানা পাটেকর (Nana Patekar) পরিচালক সুরাজ বরজাতিয়ার সঙ্গে তার পুরানো স্মৃতি শেয়ার করেছেন।

   

নানা পাটেকর (Nana Patekar) জানান, ১৯৮৮ সালে এন চন্দ্র পরিচালিত ‘প্রতিঘাট’ ছবিতে কাজ করছিলেন। সেই ছবিতে সহ পরিচালক হিসেবে কাজ করছিলেন সুরাজ বরজাতিয়া। শুটিংয়ের সময় একদিন সুরাজ বরজাতিয়া (Suraj Barjatya) শুটিং সেটে নানা পাটেকরের জুতা হাতে নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু নানা পাটেকর (Nana Patekar) তাকে বাধা দিয়ে বলেন, “এটা করো না, আমি নিজের জুতা নিতে পারি।” সুরাজ বরজাতিয়া তখন বিনয়ীভাবে বলেন, “না স্যার, আমি এটা করব।” এই সাদামাটা অভ্যেসেই তিনি অনেককেই মুগ্ধ করেছিলেন।

তবে পরবর্তী সময়ে নানা পাটেকর (Nana Patekar) আবার দেখেছিলেন সুরাজ বরজাতিয়াকে (Suraj Barjatya)। তখন তিনি দেখেছিলেন সুরাজ আগের মতোই সাদাসিধে ও নম্র ছিলেন (Humble Gesture) । একটি অনুষ্ঠানে সুরাজ তাকে হাত জোড় করে প্রণাম করেছিলেন, যা দেখে নানা পাটেকর অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, “এটা একেবারে সহজ ছিল। তিনি যেমন ছিলেন, তেমনি আছেন। তার মধ্যে কোনও পরিবর্তন আসেনি।”

দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে কিছুদিন আগে একটি সাক্ষাৎকারে সুরজ বরজাতিয়া (Suraj Barjatya) পরবর্তী প্রকল্পের কথা বলেছিলেন। ‘উঁচাই’ ছবির পর তিনি আবারও সালমান খানের (Salman Khan) সঙ্গে কাজ করার সম্ভাবনা ভাবছেন। তবে এখনও পর্যন্ত কোন আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়নি। শাহরুখ খান, সালমান খান, অমিতাভ বচ্চনসহ আরও অনেক তারকার সঙ্গে কাজ করা সুরাজ বরজাতিয়া বলিউডের অন্যতম শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব। তার ব্যক্তিগত জীবন ও কাজের প্রতি অনুরাগী দর্শকদের জন্য এই গল্পটি এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেছে।