বর্ষীয়ান অভিনেতা নানা পাটেকরের (Nana Patekar) জন্য বড় স্বস্তির খবর এল মুম্বাইয়ের আন্ধেরি ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে। ২০১৮ সালে অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্তের (Tanushree Dutta) করা ‘মি টু’ অভিযোগ শুক্রবার খারিজ করে দিয়েছে আদালত। তনুশ্রী দত্ত নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছিলেন। কিন্তু আদালত বলেছে যে এই অভিযোগ প্রমাণের জন্য কোনও পর্যাপ্ত প্রমাণ নেই। এই রায়ে নানা পাটেকর, কোরিওগ্রাফার গণেশ আচার্য, পরিচালক আব্দুল সামি সিদ্দিকী এবং প্রযোজক রাকেশ সারং-এর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি খারিজ হয়ে গেছে।
ঘটনার সূত্রপাত ২০০৮ সালে, ‘হর্ন ওকে প্লিজ’ ছবির একটি গানের শুটিংয়ের সময়। তনুশ্রী দত্ত (Tanushree Dutta) অভিযোগ করেছিলেন যে নানা পাটেকর তাকে অনুপযুক্তভাবে স্পর্শ করেছিলেন । ২০১৮ সালের অক্টোবরে ‘মি টু’ আন্দোলনের সময় তিনি এই অভিযোগটি সামনে আনেন এবং ওশিওয়ারা থানায় নানা পাটেকর, গণেশ আচার্য, আব্দুল সামি সিদ্দিকী এবং রাকেশ সারং-এর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন। তিনি দাবি করেছিলেন যে শুটিংয়ের সময় নানা পাটেকর তার সঙ্গে অশ্লীল আচরণ করেছেন। যদিও নানা স্পষ্টভাবে বলেছিলেন যে তিনি এমন কিছু করবেন না।
মামলার তদন্তে মুম্বাই পুলিশ জড়িত হয়েছিল। তদন্তের পর পুলিশ একটি ক্লোজার রিপোর্ট জমা দেয়। যেখানে বলা হয় যে অভিযোগের সমর্থনে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এরপর তনুশ্রী ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে আন্ধেরি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (Andheri Court) একটি প্রতিবাদ পিটিশন দাখিল করেন। তিনি আরও তদন্ত এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। তবে, ম্যাজিস্ট্রেট নীলেশ বনসালের সামনে শুনানির পর আদালত পুলিশের রিপোর্ট এবং প্রমাণের অভাবের ভিত্তিতে অভিযোগটি খারিজ করে দেয়। নানা পাটেকরের পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আইনজীবী অনিকেত নিকম।
এই রায় নানা পাটেকরের (Nana Patekar) জন্য একটি বড় জয় হিসেবে দেখা হচ্ছে। ২০১৮ সালে এই অভিযোগের পর থেকে তিনি এবং তার পরিবার ব্যাপক চাপের মধ্যে ছিলেন। তনুশ্রী দত্তের (Tanushree Dutta) অভিযোগ ভারতে ‘মি টু’ আন্দোলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছিল। তিনি দাবি করেছিলেন যে শুটিংয়ের সময় গণেশ আচার্য, আব্দুল সামি সিদ্দিকী এবং রাকেশ সারং নানার আচরণে সহযোগিতা করেছিলেন। তবে, আদালতের এই সিদ্ধান্তে সেই অভিযোগগুলো আর টিকল না।