নিউজ ডেস্ক: নরেন্দ্র মোদী। দেশের জনপ্রিয়তম রাজনীতিবিদদের মধ্যে অন্যতম। মাত্র সাত বছর আগে তাঁর জনপ্রিয়তার ঝড়ে বেসামাল হয়ে গিয়েছিল বিরোধীরা। তাঁর একক দক্ষতাতেই কেন্দ্রে ক্ষমতায় এসেছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। এখনও দেশের প্রধানমন্ত্রীর মুখ হিসেবে তাঁর নামই সকলের আগে। কিন্তু গত এক বছরে দ্রুতগতিতে সমর্থন কমছে তাঁর। উল্টোদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশের প্রধানমন্ত্রী হোক, অনেকেই তা চাইছেন। গত বছরের আগস্টেও ৬৬ শতাংশ মানুষ নরেন্দ্র মোদীকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চাইছিলেন, সেখানে এবারের আগস্টে এসে তা নেমে দাঁড়িয়েছে ২৪ শতাংশে।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের একটি সমীক্ষায় ধরা পড়েছে এই ছবি। কিন্তু কেন রাতারাতি এতটা কমেছে মোদির জনপ্রিয়তা? গত ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটেও বিপুল সংখ্যক আসন পেয়েছিল পদ্মশিবির। এবং তাতে অন্যতম কারণ ছিল মোদী-ক্যারিশমা। কিন্তু তারপর থেকেই বিতর্কে জড়িয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সাধারণ জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া, পেট্রোলের দাম সেঞ্চুরী করে ফেলেছে, রান্নার গ্যাসের দামেও আগুন। এই সমস্যা ছাড়াও মনে করা হচ্ছে এর পিছনে অন্যতম ফ্যাক্টর করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। বছরের শুরুতে সংক্রমণের হার অনেকটাই কমে গিয়েছিল। কিন্তু এপ্রিল থেকে দেশে আছড়ে পড়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। অতিমারী সামলাতে কেন্দ্রের ব্যর্থতার অভিযোগ তুলতে থাকে বিরোধীরা।
অন্যদিকে রাজ্যের বিধানসভা ভোটে জিতে তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দিল্লির দিকে ছুটছেন। উত্তরপ্রদেশ ভোটেও তাঁকেই বিরোধী শিবিরের প্রধান মুখ করার আর্জি জানিয়েছেন অনেক বিরোধী নেতাই। শুধু দেশীয় রাজনীতিতেই নয়, সাধারণ মানুষের কাছেও নিজের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। গত আগস্টে তাঁকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চাইছিলেন ২ শতাংশ মানুষ। জানুয়ারিতে তা বেড়ে ৪ শতাংশ হওয়ার পরে এবারের আগস্টে সেটা এসে দাঁড়িয়েছে ৮ শতাংশ। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গেই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে চার নম্বরে উঠে এসেছেন তিনি।