একের পর এক বাঁধা। কখনও গাঙ্গুবাই-এর পরিবারের সদস্যদের অমর তো কখনও মানহানির মামলা। মুক্তি পাওয়ার আগে থেকেই নানা বিতর্কের মধ্যমণি হয়ে উঠেছে পরিচালক সঞ্জয়লীলা বনশালীর ছবি ‘গাঙ্গুবাঈ কাথিয়াওয়াড়ি’এ। ছবিতে কামাথিপুরাকে যৌনপল্লি হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এতে ‘কাঠিয়াওয়াড়ি’ সম্প্রদায়ের মানুষের মানহানি করা হয়েছে বলে বম্বে হাইকোর্টে ছবির নাম পরিবর্তনের আর্জি নিয়ে দ্বারস্থ হয়েছেন এক কংগ্রেস নেতা। বিধায়কের দাবি, কামাথিপুরা নামের ব্যবহার ছবিতে করা যাবে না। তার বদলে কোনও কাল্পনিক নাম ব্যবহার করা যেতে পারে বা নামের অংশটি মিউট করে দেওয়া যেতে পারে।
তবে এসব নিয়ে মোটেও বিব্রত নন পর্দার গাঙ্গুবাই। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ‘গাঙ্গুবাঈ কাথিয়াওয়াড়ি’ ছবিকে ঘিরে ওটা নানা বিতর্ক প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন আলিয়া ভট্ট। তিনি বলেন, ‘কোনও প্রকার বিতর্কই আমাকে বিব্রত করতে পারে না। এমন সমস্ত ঘটনা ঘটেই থাকে। এগুলো খুবই স্বাভাবিক। ছবি ভালো হোক কিংবা খারাপ, কিছু মানুষ বিতর্কিত মন্তব্য করতে পছন্দ করে। আবার কিছু মানুষ এসব নিয়ে আইনি জটিলতা তৈরি করতে ভালোবাসে। এগুলো ছবিকে আরও মানুষের কৌতুহলের দরজায় পৌঁছে দেয়। এগুলো কোনও ব্যাপার নয়।’
এদিকে ২০২০ সালে গঙ্গুবাইকে নিয়ে ছবি হচ্ছে জানার পরই লড়াই শুরু তাঁর পরিবারের। বাবু রাওজির আইনজীবীর দাবি, ‘গঙ্গুবাইয়ের পরিবারের সদস্যদের পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। এমনকি পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও প্রশ্ন তুলছেন, যে গঙ্গুবাই আদৌ সমাজকর্মী ছিলেন নাকি যৌনকর্মী।’ তিনি আরও জানান, গঙ্গুবাইয়ের পরিবারের সদস্যদের মানসিক অবস্থা ভাল নয়। এ নিয়ে ছবির পরিচালক সঞ্জয় লীলা ভন্সালী এবং হুসেন জা়ইদিকে আইনি নোটিস পাঠালেও লাভের লাভ কিছু হয়নি।
গাঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়ি চলচ্চিত্রটির প্রযোজনা ও পরিচালনা করেছেন সঞ্জয় লীলা বনসালি। সিনেমার গল্পটি হুসেন জাইদির বই ‘মাফিয়া কুইন্স অফ মুম্বই’-এর একটি অধ্যায় থেকে সংগৃহীত। আলিয়া ছাড়াও এই চলচ্চিত্রে দেখা যাবে বিজয় রাজ এবং সীমা পাহওয়াকে। অজয় দেবগনকেও এই সিনেমায় একটি বিশেষ ভূমিকায় দেখা যাবে। গাঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়ি মুক্তি পাবে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি