বিউটি কনটেস্ট জেতার পর বেশিরভাগ প্রতিযোগীর লক্ষ্য হয় মডেলিং জগতে প্রবেশ করা অথবা বলিউডে নিজের কেরিয়ার গড়া। ঐশ্বরিয়া রাই, সুস্মিতা সেন বা প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার মতো অনেকেই সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হওয়ার পর রুপালি পর্দায় পা রেখেছিলেন। তবে আজ আমরা এমন একজন বিউটি কুইনের কথা বলবো যিনি সম্পূর্ণ আলাদা পথে হেঁটেছেন। তিনি গ্ল্যামারের জীবনকে নয়, বরং দেশসেবাকে বেছে নিয়েছেন। তিনি হলেন মিস ইন্ডিয়া চার্মিং ফেস বিজয়ী গরিমা যাদব (Garima Yadav), যিনি বর্তমানে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন লেফটেন্যান্ট।
গরিমা যাদব (Garima Yadav) দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট স্টিফেন কলেজ থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন। গরিমার শৈশব কেটেছে হরিয়ানার রেওয়ারি জেলার সুরহেলি গ্রামে। পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ থাকলেও গরিমার ছোটবেলা থেকেই তার মন পড়ে থাকত দেশের সেবার দিকে। ২০১৭ সালে তিনি ‘ইন্ডিয়াস মিস চার্মিং ফেস’ খেতাব জিতে সবার নজরে আসেন। বিজয়ী হওয়ার পর তার কাছে মডেলিং ও বিদেশে কাজের সুযোগ আসে।
View this post on Instagram
গরিমার (Garima Yadav) সামনে যখন ইতালিতে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ এলো, তখন তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেন। তিনি তার স্বপ্নের পথ পরিবর্তন করে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সেই সময়ে তার সেনা প্রশিক্ষণ শুরু হওয়ার কথা ছিল। সেই কারণে গরিমা বিদেশযাত্রার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে অফিসার ট্রেনিং একাডেমিতে ভর্তি হন।
‘সরস্বতী বন্দনা’ পাঠ করে সকলকে তাক লাগালেন পাকিস্তানি অভিনেতা
গরিমা (Garima Yadav)প্রথম প্রচেষ্টাতেই সিডিএস (কম্বাইন্ড ডিফেন্স সার্ভিসেস) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং সারা দেশে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন। এরপর তিনি চেন্নাইয়ের অফিসার ট্রেনিং একাডেমিতে কঠোর প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে যান। প্রশিক্ষণ পর্ব সহজ ছিল না, কিন্তু গরিমা কখনো হাল ছাড়েননি। কঠোর পরিশ্রম মাধ্যমে তিনি একজন দক্ষ সেনা অফিসার হিসেবে নিজের স্থান নিশ্চিত করেন।
গত ছয় বছর ধরে গরিমা যাদব (Garima Yadav)ভারতীয় সেনাবাহিনীতে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি প্রমাণ করেছেন সৌন্দর্যের চেয়েও বড় হল আত্মবিশ্বাস, কঠোর পরিশ্রম এবং দেশপ্রেম। তিনি শুধুমাত্র একজন মডেল নন, তিনি এক অনুপ্রেরণা, যিনি দেখিয়েছেন যে ইচ্ছাশক্তি থাকলে জীবনের যেকোনো ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করা সম্ভব।
বলিউডের ‘ড্রামা কুইন’ অভিনেত্রী হবেন পাকিস্তানের পুত্রবধূ!