বলিউডের সঙ্গীতের রাণী, স্বর কোকিলা লতা মঙ্গেশকর (Lata Mangeshkar) আর আমাদের মধ্যে না থাকলেও তার কণ্ঠস্বর আজও আমাদের হৃদয়ে জীবন্ত। লতা মঙ্গেশকর তিন বছর আগে আজকের দিনে মৃত্যুবরণ করেন। কিন্তু তাঁর গানগুলি আজও মানুষের মুখে মুখে ফিরছে। লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গীত জীবনের একটি অজানা অধ্যায় রয়েছে, যা অনেকেই জানেন না।
লতা মঙ্গেশকরের (Lata Mangeshkar) চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে। তবে তাঁর প্রথম গানটি কখনও ছবিতে ব্যবহৃত হয়নি। এই গানটি ছিল “নাচু ইয়া গাদে, খেলু সারি মানি হাউস ভারি”,। ১৯৪২ সালে তিনি কিটি হাসাল নামক একটি মারাঠি ছবির জন্য রেকর্ড করেছিলেন। দুর্ভাগ্যক্রমে এই গানটি ছবির থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। এরপর লতা মঙ্গেশকরের সেই গানটি আর কখনও প্রকাশিত হয়নি।
লতা মঙ্গেশকরের (Lata Mangeshkar) জন্ম ১৯২৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ইন্দোরে। তিনি ছিলেন একজন মারাঠি পরিবারের সদস্য। লতা মঙ্গেশকরের বাবা ছিলেন বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী সঙ্গীতশিল্পী দীনানাথ মঙ্গেশকর। তাঁর সঙ্গীতের প্রতি আগ্রহ এবং ভালোবাসা বাবা থেকেই পেয়েছিলেন। ছোট বয়স থেকেই লতা মঙ্গেশকর সঙ্গীতের জগতে প্রবেশ করেন । একে একে তার কণ্ঠস্বর দিয়ে জয় করেন কোটি কোটি শ্রোতার হৃদয়।
View this post on Instagram
কিন্তু লতা মঙ্গেশকরকে (Lata Mangeshkar) তার প্রথম গান রেকর্ড করতে গিয়ে বেশ কিছু কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছিল। একবার একটি গান রেকর্ড করতে গিয়ে, তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন। তিনি নিজেই একবার বলেছিলেন, “আমরা গ্রীষ্মের বিকেলে গানটি রেকর্ড করছিলাম, মুম্বাই ছিল অত্যন্ত গরম। তখন রেকর্ডিং স্টুডিওতে কোনো এয়ার কন্ডিশনিং ছিল না এবং ফ্যান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, যার ফলে আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ি।”
লতা মঙ্গেশকরের (Lata Mangeshkar) জীবনে বদলে যায় যখন তিনি “মজবুর” ছবির জন্য মাস্টার গোলাম হায়দারের সঙ্গীত পরিচালনায় গান গাইতে শুরু করেন। এই ছবির গানটি ছিল সুপারহিট। এর মাধ্যমেই লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গীত ক্যারিয়ারের দিকনির্দেশনাও বদলে যায়। সুরের রাণী, লতা মঙ্গেশকর সেই সময়ে কঠোর পরিশ্রম করে একে একে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন।