Tarun Majumdar: ‘লাল পতাকা আর গীতাঞ্জলি দিও…’ জীবনপুর ছাড়লেন তরুণ মজুমদার

নবতিপর তরুণ মজুমদারের (Tarun Majumdar) শেষ ইচ্ছে ছিল তাঁর শেষ যাত্রায় যেন কমিউনিস্ট পতাকা থাকে। আর থাকুক একটি গীতাঞ্জলি। রবিঠাকুরের গান তিনি অক্লেশে ব্যবহার করেছেন…

Tarun Majumdar: 'লাল পতাকা আর গীতাঞ্জলি দিও...' জীবনপুর ছাড়লেন তরুণ মজুমদার

নবতিপর তরুণ মজুমদারের (Tarun Majumdar) শেষ ইচ্ছে ছিল তাঁর শেষ যাত্রায় যেন কমিউনিস্ট পতাকা থাকে। আর থাকুক একটি গীতাঞ্জলি। রবিঠাকুরের গান তিনি অক্লেশে ব্যবহার করেছেন আর জীবনভর সিপিআইএমের নীতির সঙ্গে ছিলেন।

প্রয়াত কিংবদন্তি চিত্র পরিচালকের শেষ আরও দুটি ইচ্ছে, মৃত্যুর পর দেহদান হবে অনাড়ম্বর ভাবে। তাঁর ইচ্ছে মেনেই সবকিছু পালন করা হয়েছে।

   

পড়ুন: Tarun Majumdar: ‘মেয়েটির নাম মীনাক্ষি মুখার্জি…’ তরুণ মজুমদারের সেই চিঠিটা যেন রাজনীতির কুহেলি

Advertisements

প্রয়াত তরুণ মজুমদারের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি জানান, “প্রয়াত কিংবদন্তী চিত্র পরিচালক তরুণ মজুমদার। গভীর শোকের এই মুহূর্তে শ্রদ্ধা জানাই চলচ্চিত্র জগতে তাঁর অপরিসীম অবদান ও লড়াকু মানসিকতাকে।”

Tarun Majumdar: 'লাল পতাকা আর গীতাঞ্জলি দিও...' জীবনপুর ছাড়লেন তরুণ মজুমদার

আলোর পথযাত্রী তরুণ মজুমদার: নিভৃতে হবে দেহদান

কিংবদন্তি পরিচালক তরুণ মজুমদারের প্রয়াণে  শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বাংলা সিনেমায় যেন এ যুগের অবসান ঘটল। সাদামাটা জীবনযাপনে অভ্যস্ত তরুণ মজুমদার চেয়েছিলেন নীরবে নিভৃতে হোক শেষকৃত্য।

জীবনভর বামপন্থী। বারবার রাজনৈতিক আদর্শকে সামনে এনেছেন। তবে সব মহলেই জনপ্রিয় ছিলেন তরুণ মজুমদার। সোমবার সকাল ১১ টা ১৭ মিনিটে প্রয়াত হন তিনি। ১৯৩১ সালের ৮ জানুয়ারি অধুনা বাংলাদেশের বগুড়ায় জন্ম তরুণ মজুমদারের। কিন্তু পড়াশোনা এবং বেড়ে ওঠা কলকাতাতেই। সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল মিশন কলেজ এবং স্কটিশ চার্চ কলেজে ছাত্র তরুণ মজুমদার পরে রসায়ন নিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন।

Tarun Majumdar: 'লাল পতাকা আর গীতাঞ্জলি দিও...' জীবনপুর ছাড়লেন তরুণ মজুমদার

১৯৫৯ সালের ‘চাওয়া পাওয়া‘ থেকেই সিনেমা জগতে কাজ শুরু। ১৯৬২ সালে ‘কাঁচের স্বর্গ’ ছবির জন্য জাতীয় পুরষ্কার পান তিনি। এরপর ‘পলাতক’, ‘গণদেবতা’, ‘বালিকা বধু’, ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’, ‘ফুলেশ্বর’, ‘দাদার কীর্তি’ একের পর এক অসামান্য ছবি দিয়ে গেছেন সিনে প্রেমীদের জন্য।

তরুণ মজুমদারের প্রয়াণে শোক জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, যেহেতু তিনি বলে গিয়েছিলেন একেবারে নীরবে নিভৃতে ওনাকে যাতে কেউ ফুল মালা না দেন সেটাও ওনার সিদ্ধান্ত ছিল। তিনি আগেই ঠিক করেছিলেন দেহদান করবেন তাই তাঁর দেহ এসএসকেএম হাসপাতালে দান করা হবে।