Laapataa Ladies review:ওরা বাকি পৃথিবীর ঠিকানা খুঁজে পাক, মিলে যাক না পাওয়ারা

এই রিভিউ লেখা পর্যন্ত উপরোক্ত সিনেমাটি বড় পর্দায় মাত্র ২১ কোটির ব্যবসা করেছে। যা বলিউডে একেবারেই নগণ্য। কোথায় এক একটা সিনেমা কয়েকশো কোটির ব্যবসা করেও…

এই রিভিউ লেখা পর্যন্ত উপরোক্ত সিনেমাটি বড় পর্দায় মাত্র ২১ কোটির ব্যবসা করেছে। যা বলিউডে একেবারেই নগণ্য। কোথায় এক একটা সিনেমা কয়েকশো কোটির ব্যবসা করেও ন্যাকা কান্না কাঁদছে সেখানে এই ‘ লাপাতা লেডিজ’ তো দুধে ভাতে। এটা গেলো বক্স অফিস কালেকশানের কথা, কিন্তু মানুষের মনের হিসেব তো বোঝা সম্ভব নয়। আর সম্ভব নয় বলেই তো অন্য পথে সুপার হিট ‘লাপাতা লেডিজ’। সমাজ মাধ্যমে ছেয়ে গিয়েছে সাধুবাদের বন্যা। তারিফের বোঝায় নতজানু হয়েছে ‘লাপাতা লেডিজ’। ওটিটি প্ল্যাটফর্মে এসেই বাজিমাত করেছে এই সিনেমা। নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেতেই ঝড় বয়ে গিয়েছে। এত ভাল কাজ? তাও আবার নামী কাউকে ছাড়া! হিসেব বলছে এই সিনেমা বহু পুরোনো! প্রথম মুক্তি পেয়েছিলে ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সালে। তাও আবার টরেন্টো ইন্টারন্যাশানাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে। তারপর ১লা মার্চ ২০২৪, ভারতের বিভিন্ন সিনেমা হলে এবং তারপরে ওটিটিতে। দীর্ঘ পথের শেষে দেখা হলো , মুচকি হাসির পরশ লেগে থাকল। জড়িয়ে ধরল ভালবেসে, দৌড়ে এলো একরাশ শান্তি।

এই সিনেমার নির্মাতা কিরণ রাও। প্রযোজক আমির খান, কিরণ রাও এবং জ্যোতি দেশপান্ডে। সিনেমার গল্পটি লিখেছেন বিল্পব গোস্বামী। চিত্রনাট্য সাজিয়েছেন স্নেহা দেশাই এবং দিব্যানিধি শর্মা। এই সিনেমার গল্পটি ইতিমধ্যে সবার পরিচিত হয়ে উঠেছে। একজন যুবক সদ্য বিয়ে করে তাঁর বিবাহিতা স্ত্রীকে নিয়ে ট্রেনে ফিরতে গিয়ে ঘটল বিপদ। ট্রেনের মধ্যে বউ পাল্টে গেল! কী করে পাল্টে গেল, সেটা দেখার জন্য আপনারা একটু নেটফ্লিক্সে ঘুরে আসুন। গল্পের সময়কাল বেশ কিছু বছর আগের। আজ থেকে প্রায় কুড়ি বছর ধরে নেওয়া যেতে পারে, তখন মোবাইল ফোন এলেও আজকালকার দিনের মতো এত সহজ হয়নি যোগাযোগ। তাই অন্যের বউকে নিয়ে এসে চরম বিপদে পড়ে সদ্য বিবাহিত যুবক। আর অন্যদিকে তাঁর বউ অন্য এক স্টেশনে নেমে তাঁকে হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়ায়। এইখানেই গল্প শুরু। গ্রামের প্রাচীন রীতিনীতি এক নববধূকে ঘরে জায়গা দেয় ঠিকই, কিন্তু মেয়ে বলে তার গায়ে কি কালি লাগাতে দিতে পারে ? তার জায়গা হয় ওই বাড়িরই অন্য এক ঘরে। ওইদিকে দুই নববধূরই খোঁজ চলতে থাকে।

   

এখানেই দর্শকের সঙ্গে পরিচয় ঘটে এক ঘুষখোর পুলিশ অফিসারের। যাকে দায়িত্ব দেওয়া হয় দুই হারিয়ে যাওয়া নববধূকে ফিরিয়ে দেওয়ার। অন্যদিকে যে নববধূ স্টেশনে হারিয়ে তাঁর সদ্য বিবাহিত স্বামীকে খুঁজছে, তাঁর প্রাণ তো ভয়ে ছটফট করছে। কিন্তু তাঁর কপালে জুটে যায় তিন অপরিচিত! এক চায়ের দোকানের মাসি এবং সেই দোকানে কর্মরত একজন। সেই গল্প মোড় নেয় অন্যদিকে। আসলে এই গল্পে কিছুই নেই, কিন্তু চিত্রনাট্যে জাদু আছে। মোহিত করে রাখবে অপরিচিতদের অভিনয়। এবং সবশেষে দীর্ঘ পথের শেষে দেখা হলো , মুচকি হাসির পরশ লেগে থাকল। জড়িয়ে ধরল ভালবেসে, দৌড়ে এলো একরাশ শান্তি। kolkata 24×7-এর বিচারে এই সিনেমা ৭/১০ দেওয়া হয়েছে।