Kanchan Sreemoyee Wedding: ‘যতই ঘুড়ি ওড়াও রাতে, লাটাই তো আমার হাতে’- বিয়ে হতে না হতেই নেচে উঠেছিলেন শ্রীময়ী। আনন্দে আহ্লাদে আটখানা হয়ে মটন পোলাও হাতেই ডান্স ফ্লোর কাঁপিয়েছিলেন কাঞ্চন মল্লিকও। এবার বিয়ের পরের দিনই বউকে আদর করে ঠিক যা যা লিখলেন কাঞ্চন। জানলে আপনারও মনে হবে, ‘কি মিষ্টি মাইরি, আমার উনিও যদি একটু এমন হতেন, মন্দ হত না বৈকি।
বিয়ের পরের দিন দুপুরে স্ত্রীর জন্য দুই লাইন কবিতা অনেকটা ওই দু কলি গাওয়ার মতো করে কাঞ্চন লিখে ফেলেছেন। বেশ কয়েকটি বিয়ের ছবি ফ্যানেদের সঙ্গে শেয়ার করে নিয়ে কবীর সুমনের গানের লাইন ধরে লিখলেন ‘‘বন্ধু তোমার ভালবাসার স্বপ্নটাকে রেখো। বেঁচে নেবার স্বপ্নটাকে জাপটে ধরে থেকো।’’
আসলে বরাবরই প্রকাশ্যে ভালোবাসা দেখাতে কখনও পিছু পা হননি কাঞ্চন শ্রীময়ী। সমালোচনা কিংবা ট্রোলিং কাঞ্চন-শ্রীময়ীর ভালবাসা আজ বিয়ে অবধি গড়িয়েছে।
রেজিস্ট্রি করে কাঞ্চন শ্রীময়ীর সঙ্গে ছবি শেয়ার করে বলেছিলেন, ‘খুব ভালবাসি তোকে। এ ভাবেই ভালবাসা দিয়ে চিরটাকাল আগলে রাখিস আমায়।’ শ্রীময়ীও থেমে থাকেননি। আদর এঁকে বলেছিলেন, ‘‘মিস্টার মল্লিক, আমার ভালবাসা, তুমি শুধুই আমার।’’
উল্লেখ্য, শ্রীময়ী একটু ঘুমোতে ভালোবাসেন। একবার তাই বলেছিলেন, ‘বিছানা, সোফা, সব জায়গাতেই আমি পারি ঘুমিয়ে পড়তে। পাশে যদি জোরে-জোরে আওয়াজও হয় আমি নির্দ্বিধায় পারি ঘুমিয়ে পড়তে। আমার কোনও অসুবিধাই হয় না।’ কাঞ্চন যখন বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে শ্রীময়ীর বাড়ি গিয়েছিলেন, সেই ঘটনা মনে করে শ্রীময়ী বলেছিলেন, ‘আমার ঠাকুরদার বয়স ৯৫ বছর। এই বছরের শুরুতে হঠাৎ করেই কাঞ্চন (মল্লিক) একদিন আমার বাড়ি আসে। এসে ঠাকুরদা’কে বলে, ‘আপনার নাতনিকে বিয়ে করতে চাই।’ তখনও ওর ডিভোর্স (পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে)-টা হয়নি। বলে, ডিভোর্স হলেই বিয়ে করবে। আপত্তি নেই তো? সে দিন ঠাকুরদা খালি একটা কথাই বলেছিলেন, ‘তোমাদের জীবন তোমরা যদি সুখী থাক, আমার কিচ্ছু বলার নেই। তবে বাড়ির সবচেয়ে ছোট ও। ওকে ভাল রেখো।’