নবম-দশমের সহকারি শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় শিক্ষক নিয়োগ মামলায় নম্বর সহ মেধাতালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিলেন। নিয়োগ এবং ওয়েটিং মিলিয়ে প্রায় ২০ হাজার নাম ১০ দিনের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে।
নিয়োগে অস্বচ্ছতার অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন এক চাকরিপ্রার্থী। বৃহস্পতিবার সেই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, প্যানেল ও ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের তালিকা নম্বর সহ প্রকাশ করতে হবে। অনলাইন অ্যাপ্লিকেশনগুলিও আপলোড করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশ্ন মূল প্যানেল এবং ওয়েটিং লিস্ট প্রকাশ করলেও নামের পাশে নম্বর নেই কেন? তাঁর বক্তব্য, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছ ভাবমূর্তি বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছে এসএসসি। নম্বর প্রকাশ করলে কার কি ক্ষতি হত সেটা স্পষ্ট নয়।
একইসঙ্গে প্যানলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও নিয়োগ বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি সহকারি শিক্ষক নিয়োগ আমলায় দুই জনের চাকরী বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। অভিযোগ, মেধাতালিকায় তাঁদের নাম পিছনে থাকার পরেও তাদের নিয়োগ হয়েছে। এই অভিযোগ পাওয়ার পরেই কর্মরত দুই শিক্ষকের চাকরি বাতিল করা হয়েছে।