IMDB সেরা ২৫ বছরের তালিকায় জায়গা হল না বাংলা ছবির

imdb-top-25-years-list-bengali-films

কলকাতা: প্রকাশিত হয়েছে IMDB র শেষ ২৫ বছরের সেরা তালিকা। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ভাবে তাতে স্থান পাইনি কোনও বাংলা ছবি। রিপোর্টের সূত্রে দেখা গিয়েছে যে ছবিগুলি রয়েছে তালিকায় তার অধিকাংশই বলিউড এবং দক্ষিণী ছবি। সবচেয়ে আশ্চর্যের কথা তালিকাতে ধুম ২, বাহুবলীর মতো বড় বাজেটের ছবি গুলিই স্থান পেয়েছে কিন্তু গত ২৫ বছরের মধ্যে কোনো বাংলা ছবির নাম নেই।

Advertisements

এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বাংলা ছবির জনপ্রিয় পরিচালক সুব্রত সেন বলেছেন “IMDB-র লিস্টে গত ২৫ বছরের গুরুত্বপূর্ণ ভারতীয় সিনেমার লিস্টে একটাও বাংলা সিনেমা নেই। এর মানে বাংলা সিনেমাকে কেউ আর পাত্তা দিচ্ছে না সারা পৃথিবীতে।

সে যতই ভারতের নোলান থাকুক বা ইন্ডাস্ট্রির ফার্স্ট বয়। দেখুন খেয়াল করে শুধু পরিচালক নন, কোনও ফার্স্ট বয় প্রোডিউসারও নেই। একটা ছোট্ট পুকুরে কোন মাছ কত বড় তাই নিয়ে বারফট্টাই চলছে। এবার প্রশ্ন উঠতেই পারে, বাংলা সিনেমা বিচার করার IMDB কে? সত‍্যি কেউ নয়।

অতএব একে অন্যের পিঠ চাপড়াতে থাকুন, ঘেটো করে বাঁচতে থাকুন।” সুতরাং পরিচালকের গলায় আক্ষেপের স্বর তো রয়েছেই তার সঙ্গে রয়েছে আত্মবিশ্লেষণ। তিনি হয়তো তার এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে বলতে চেয়েছেন যে বাংলায় ছবির জগতে রাজনীতি ঢুকে গিয়ে তা নষ্ট করছে কোয়ালিটি এবং বাংলায় নিজেরাই নিজেদের সুপারস্টার বা মেগাস্টার বলে দাগিয়ে দিচ্ছে।

Advertisements

কলকাতার ইন্ডাস্ট্রি খুবই ছোট কিন্তু এই ছোট ইন্ডাস্ট্রিতে ভালো কাজ বা কোয়ালিটি কাজ করার মানুষিকতা খুব কম মানুষের আছে বলেই তিনি আক্ষেপ করেছেন। তিনি স্পষ্টতই বলেছেন যে এই ছোট ইন্ডাস্ট্রিতে একে অন্যের পিঠ চাপড়াচ্ছে কিন্তু এমন কোনও কাজ হয়নি যাতে রাষ্ট্রীয় স্তরে সম্মান পাওয়া যায়।

নেটিজেনদের প্রতিক্রিয়া অনুসারে জনপ্রিয় পরিচালক এই কথাগুলো লিখে নিজেদের ইন্ডাস্ট্রির কালো দিক তুলে ধরছেন ঠিকই কিন্তু কিছুটা দায় কি তাদের মত পরিচালকদের উপরেও বর্তায় না। আবার অনেকের মতে IMDB তালিকায় যখন লাইন দিয়ে শাহরুখ, আমির বা অজয় দেবগনের নাম আসে। কিংবা দক্ষিণের রজনীকান্ত, প্রভাস, ধানুশ এদের নামের পাশে কোনো বাঙালির নাম থাকে না তখন সত্যি মনেহয় গত ২৫ বছরে বাংলা ছবি নিয়ে শুধুই ছেলেখেলা হয়েছে।

আবার অনেকেই তাদের প্রতিক্রয়া জানাতে গিয়ে বলেছেন এখানে ছবি নিয়ে শুধু রাজনীতি। মধ্যমানের ছবি কিন্তু তা নিয়েও কোন ছবি কত শো আদায় করে নিল এবং কে তার রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে নিজের ছবির প্রমোশন করছে এইসবই প্রত্যেকদিন দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। কখনো শুটিং বন্ধ কখনও আবার তা নিয়ে কোর্ট কাছারি এসবের পিছনেই সময় দিতে হচ্ছে অভিনেতাদের কিন্তু কাজের কাজ কিছু হচ্ছেনা এমনটাও দাবি বহু মানুষের।