শাহরুখ খান এবং আরিয়ানের মধ্যে ঠিক কতটা মিল? জানালেন মনোজ পাহওয়া

শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খান (Aryan Khan) ওয়েব সিরিজ ‘স্টারডম’ দিয়ে পরিচালনায় আত্মপ্রকাশের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মনোজ পাহওয়া, যিনি আরিয়ানের সিরিজে কাজ করেছেন, সম্প্রতি একটি…

শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খান (Aryan Khan) ওয়েব সিরিজ ‘স্টারডম’ দিয়ে পরিচালনায় আত্মপ্রকাশের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মনোজ পাহওয়া, যিনি আরিয়ানের সিরিজে কাজ করেছেন, সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যে আরিয়ান বাবার মতোই কঠোর পরিশ্রমী । তিনি আরও প্রকাশ করেছেন যে শোটির শুটিং চলাকালীন শাহরুখের বাড়ি মান্নাত থেকে তাঁর জন্য খাবার পাঠানো হয়েছিল সেটে।

একটি সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারী মনোজ পাহওয়া আরিয়ান খানের আসন্ন ওয়েব সিরিজ, ‘স্টারডম’, নিয়ে কথা বলেছেন। এই সিরিজটি বিনোদন শিল্পকে কেন্দ্র করে তৈরী। সিরিজে কাজ করার অভিজ্ঞতা প্রকাশ করে মনোজ জানিয়েছেন যে আরিয়ান খুব পরিশ্রমী এবং তাঁর সঙ্গে কাজ করতে পেরে কাজটি উপভোগ করেছেন মনোজ। চিত্রগ্রহণের প্রক্রিয়াটি দীর্ঘ থাকলেও, মজাদার ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।

   

মনোজ শাহরুখ খান এবং আরিয়ান খানের মধ্যে মিল নিয়েও আলোচনা করেছেন একটি সাক্ষাৎকারে । তিনি বলেন, “শাহরুখ খান অনেক পরিশ্রমী এবং কাজপাগল । তাঁকে টানা ১৮-২০ ঘন্টা চোখের সামনে কাজ করতে দেখেছি আমি। আরিয়ানের মধ্যেও একই গুণ দেখেছি।”

‘বর্ডার ২’ তে যোগ দিতে চলেছেন বরুন ধাওয়ান!

মনোজ পাহওয়া শাহরুখের প্রশংসা করে বলেছেন, “তিনি যদি আজ কিং খান হয়ে থাকেন, তবে সেটা তাঁর অনেক গুনের কারণে হয়েছেন।” মনোজ উল্লেখ করেছেন যে শাহরুখ সবাইকে অনেক সম্মান এবং ভালবাসা দিয়েছেন। তিনি বলেছিলেন যে শাহরুখ লোকেদের জন্য এমন পরিবেশ তৈরী করেন যেন তাঁরা একে অপরকে ছোটবেলা থেকে চেনেন।

মনোজ জানিয়েছেন যে আরিয়ান খানের মধ্যে অনুরূপ বৈশিষ্ট্য আছে, যেমন বড়দের সম্মান করা, এবং সবার যত্ন নেওয়া । তিনি আরও প্রকাশ করেছেন যে শাহরুখ সিরিজের সেট পরিদর্শন করেছেন এবং সবাই কাজ করতেপারছেন কিনা সেই নিয়ে খোঁজ খবরও নিয়েছেন।

মনোজ পাহওয়া প্রকাশ করেছেন যে তিনি শুটিংয়ের সময় মান্নাত থেকে তাঁর জন্য খাবার আসতো। তিনি জানিয় ছেন যে তিনি আরিয়ানকে বাড়ি থেকে তাঁর টিফিন আনতে দেখেছেন এবং তাঁরও বাড়ি থেকে খাবার এলে ভাল হত এই ইচ্ছে প্রকাশ করেন। অভিনেতা উল্লেখ করেছেন যে তাঁদের বিশেষ শেফ দ্বারা তৈরি এটি চিকেন রোল ছিল এবং অন্যান্য জিনিস ও ছিল। তাঁর কথায়, “এটি একটি খুব ভাল অনুভূতি ছিল যে খান সাহেবের বাড়ি থেকে খাবার আসে।”