জনপ্রিয় টেলিভিশন সিরিয়াল “বড়ে ভালো লাগতে হে”-র সাক্সী তান্বর এবং রাম কাপূরের সহ অভিনেত্রী চাহাত খন্না (Chahatt Khanna) সম্প্রতি তার জীবনের একটি নতুন অধ্যায় সম্পর্কে খোলামেলা আলোচনা করেছেন। এই আলোচনা থেকে জানা যায় যে, তার ব্যক্তিগত জীবন ছিল অনেকগুলো ওঠাপড়ায় পরিপূর্ণ। চাহাতের দুটি বিয়ে ভেঙে গেছে এবং তিনি এর পেছনের কারণগুলো নিয়ে বিস্তারিত বলেছেন।
চাহাত খন্না (Chahatt Khanna) প্রথমে ২০০৬ সালে ভারত নারসিংহানির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন, কিন্তু তাদের সম্পর্কটি কয়েক মাসের মধ্যে ভেঙে যায়। পরে তিনি ইসলাম গ্রহণ করে লেখক শাহরুখ মির্জার ছেলে ফারহান মির্জার (Farhan Mirza) সঙ্গে বিবাহিত হন, যার ফলে তার দুটি কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করে। তবে, তবে ২০১৮ সালে যৌন ও মানসিক হয়রানির অভিযোগ তুলে বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করেন অভিনেত্রী।
ইসলাম ধর্ম গ্রহণের অভিজ্ঞতা: সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে চাহাত(Chahatt Khanna) ইসলাম ধর্ম গ্রহণের অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, “আমি ইসলাম গ্রহণের জন্য কোন অনুশোচনা অনুভব করছি না। তবে সনাতন ধর্মে ফিরে এসে আমি অনেক খুশি।” তিনি যোগ করেন, “আমি অত্যন্ত আধ্যাত্মিক এবং সকল ধর্মে বিশ্বাসী। আমি কখনোই ধর্মান্ধ নই।” চাহাত বলেন, “বিবাহিত জীবনের শুরুতে আমি ইসলামের অনেক কিছু জানার চেষ্টা করেছি এবং এটি আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে।”
মানসিক চাপের অভিজ্ঞতা: চাহাত খন্না (Chahatt Khanna) যখন ইসলামে ধর্মান্তরিত হন, তখন তাকে নানা ধরনের চাপের সম্মুখীন হতে হয়েছিল। তিনি জানান, তার স্বামী ফারহান তাকে কিছু কঠোর বিধি অনুসরণ করতে বাধ্য করতেন। “তিনি আমাকে বলতেন, ‘তোমার ঈশ্বরকে পূজা করো না,’ যা আমার কাছে খুব অস্বস্তিকর ছিল,” চাহাত বলেন। এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, “আমি জানি না, কিন্তু মনে হয় আমি ব্রেনওয়াশ হয়েছিলাম।” ধর্ম পরিবর্তনের এই চাপের ফলে তিনি মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন এবং এটি তার ব্যক্তিগত জীবনকে প্রভাবিত করেছিল।
প্রসঙ্গত, চাহাত খন্না (Chahatt Khanna) ২০০২ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে একটি চকোলেট বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিনোদন জগতে প্রবেশ করেন। তিনি “সচ্চি বাত সব জগ জানে” শোতে অভিনয়ের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করেন। এরপর তিনি “থ্যাঙ্ক ইউ” এবং “প্রস্থানম” সহ একাধিক সিনেমায় কাজ করেন। তার অভিনয় দক্ষতা এবং চমৎকার উপস্থিতি দর্শকদের মধ্যে তাকে জনপ্রিয় করে তুলেছে।
উল্লেখ্য,চাহাত খন্নার (Chahatt Khanna) এই বক্তব্যের পর থেকে সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করেছে। অনেকেই তার সাহসী সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছেন এবং তার পাশে দাঁড়িয়েছেন। তবে কিছু মানুষ এই বিষয়ে বিতর্কিত মন্তব্যও করেছেন। এই পরিস্থিতি সমাজে ধর্মীয় চাপ এবং নারীর অধিকার নিয়ে নতুন আলোচনার সূচনা করেছে।