সাত বছর পর ভাগ্নে কৃষ্ণার সঙ্গে লড়াইয়ের আসল কারণ জানালেন গোবিন্দা

বলিউড অভিনেতা গোবিন্দা (Govinda), সম্প্রতি কপিল শর্মার ‘দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো’-তে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়েছিলেন। শোতে ভাগ্নে কৃষ্ণা অভিষেকের (Krishna Abhishek) সঙ্গে সাত বছর…

বলিউড অভিনেতা গোবিন্দা (Govinda), সম্প্রতি কপিল শর্মার ‘দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো’-তে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়েছিলেন। শোতে ভাগ্নে কৃষ্ণা অভিষেকের (Krishna Abhishek) সঙ্গে সাত বছর ধরে চলা দ্বন্দ্বের আসল কারণ প্রকাশ করেছেন অভিনেতা। গোবিন্দা (Govinda)ও কৃষ্ণার (Krishna Abhishek) মধ্যে এই বিবাদ শুরু হয়েছিল একটি কমেডি শোতে কৃষ্ণার কৌতুক নিয়ে। তবে, এই দ্বন্দ্ব আরও তীব্র হয়ে ওঠে যখন কৃষ্ণার স্ত্রী কাশ্মীরা শাহও সোশ্যাল মিডিয়াতে এসে সুনিতা আহুজার সঙ্গে তর্ক করেন। এই ঘটনা থেকেই পরিবারে টানাপোড়েনের শুরু হয়, যা সাত বছর ধরে চলতে থাকে। 

   

গোবিন্দ (Govinda)জানান, এই তিক্ত সম্পর্কের আসল কারণ ছিল একটি বিশেষ কৌতুক, যা কৃষ্ণা অভিষেক তার শোতে করেন। গোবিন্দ বলেন, “একদিন আমি কৃষ্ণার উপর খুব রেগে গিয়েছিলাম। আমি তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, ‘এই সংলাপগুলো কী তাকে লিখতে বাধ্য করে?’ এরপর সুনিতা আমাকে বলেন, ‘পুরো ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি এটা করে, কৃষ্ণকে কিছু বলবেন না। সে অর্থ উপার্জন করছে, তাকে তার কাজ করতে দিন।’ কিন্তু আমি বুঝতে পারছিলাম না কেন এটা হয়েছিল।” 

গোবিন্দ (Govinda) আরও বলেন, “এটা ছিল একটি ভুল বোঝাবুঝি। তবে, পরে আমি সুনিতার কথা মেনে নিলাম। সে আমাকে বলেছিল, ‘কারো জন্য থামবেন না, কারো প্রতি অন্যায় করবেন না।’ আমি তখন বুঝতে পারলাম, আমি ভুল করেছি এবং আমার ভাগ্নের সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক করা উচিত।”

এরপর, গোবিন্দ (Govinda) ভাগ্নে কৃষ্ণা অভিষেকের (Krishna Abhishek) সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক করেন এবং একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন। কৃষ্ণা অভিষেকও(Krishna Abhishek) গোবিন্দের কাছে ক্ষমা চেয়ে বলেন, “হ্যাঁ, আমিও তাকে ভালোবাসি। যদি কোন তিক্ত অনুভূতি থেকে থাকে, তবে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আমি জানি, তিনি আমাদের পরিবারের একজন সদস্য এবং আমি তার প্রতি সম্মান রাখি।”

এই বিশেষ মুহূর্তে গোবিন্দ (Govinda) আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কথা বলেন। তিনি জানান, “আমার বাড়িতে আমার মায়ের পরে, আমরা সেই ভাগ্যবানদের একজন যেখানে আমার বড় বোন আমার মায়ের মতো ছিলেন। কৃষ্ণা সেই মায়ের সন্তান। আমি বিশ্বাস করি যে আমি খুব ভাগ্যবান যে আমি সবার সেবা করতে পেরেছি। এবং আমার দিক থেকে তোমার জন্য কোন নির্বাসন ছিল না। এটা দুর্ভাগ্যজনক, তবে ঈশ্বর যাই করেন না কেন, তিনি কখনই কারও প্রতি অন্যায় করেন না।”