সোমবার গভীর রাতে পাঞ্জাবি র্যাপার বাদশার একটি রেস্তোরাঁ (Badshah Club Explosion) এবং চণ্ডীগড়ের আরেকটি নাইট ক্লাবের (Chandigarh Blast) বাইরে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের খবরটি দ্রুত সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে এবং সেখানে একটি ভাইরাল পোস্টে লরেন্স বিষ্ণোই গ্রুপ (Lawrence Bishnoi Group)এই বিস্ফোরণের দায় গ্রহণ করেছে। এছাড়া, রাজা ও বাদশাকে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। এই ঘটনার পর থেকে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এবং পুলিশের তদন্ত শুরু হয়েছে।
অন্যদিকে, জানা গেছে যে লরেন্স বিষ্ণোই, যিনি বর্তমানে গুজরাটের একটি জেলে বন্দী, তার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ২৫ নভেম্বর ২০২৪-এ চণ্ডীগড়ের ২৬ সেক্টরের দুটি নাইট ক্লাবে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, সন্ত্রাসীরা ক্লাবের দিকে অপরিশোধিত বোমা নিক্ষেপ করেছিল এবং তারপর বিস্ফোরণ ঘটে। ফলস্বরূপ, রেস্টুরেন্টের দরজা ও জানালার কাঁচ ভেঙে যায়। তবে, সৌভাগ্যক্রমে কেউ আহত হয়নি।
#WATCH | A suspicious explosion took place at De’Orra – Alehouse & Kitchen restaurant in Sector 26, Chandigarh
More details awaited. pic.twitter.com/AEINenqgSl
— ANI (@ANI) November 26, 2024
এই বিস্ফোরণের (Badshah Club Explosion) পরে ফেসবুকে একটি স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দাবি করা হয়েছে যে লরেন্স বিষ্ণোই গ্রুপ এবং গোল্ডি ব্রার, রোহিত গন্ডারা এই হামলার পিছনে ছিল। পোস্টে লেখা ছিল, “সকলকে শনি শ্রী অকাল জি। সোমবার রাতে দুটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
আমি এর দায়িত্ব নিই (লরেন্স বিষ্ণোই গ্রুপ, গোল্ডি ব্রার এবং রোহিত গন্ডারা)। প্রথমটি সেলেভিল রেস্তোরাঁ, যেখানে র্যাপার বাদশার রেস্তোরাঁ। দ্বিতীয়টি ডি ওরা ক্লাব, চণ্ডীগড় সেক্টর ২৬ এ অবস্থিত। তারা দুজনেই সুরক্ষা অর্থ চেয়েছিলেন, কিন্তু মনে হয় তারা আমাদের কল শুনতে পায়নি। তাই তাদের কান খুলতে আমরা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছি। তারা আমাদের ডাক উপেক্ষা করছিল। বুঝুন। #বরীন্দ্র চরণ, #রণদীপ মালিক #লরেন্স বিষ্ণোই গ্রুপ।”
এই পোস্টের পর থেকে পুলিশ ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত শুরু করেছে। প্রথমে বলা হয়েছিল, বিস্ফোরণটি বাদশার রেস্তোরাঁর (Badshah Club Explosion) দিকে ঘটেনি, বরং ক্লাবের কাছে ঘটেছে, তবে বর্তমানে জানা যাচ্ছে যে, দুটি ক্লাবই সন্দেহভাজনদের টার্গেট ছিল।
এছাড়া, অনেকেই মনে করছেন যে, এই বিস্ফোরণের (Badshah Club Explosion) ঘটনা একটি বড় রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে ঘটতে পারে, যেখানে গ্যাং এবং বড় ব্যবসায়ী শ্রেণির মধ্যে চাপ রয়েছে। এর সঙ্গে আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও যুক্ত হতে পারে, যেমন বিনিয়োগ, সুরক্ষা এবং স্থানীয় রাজনীতি। এই ঘটনার পেছনে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের বিশাল নেটওয়ার্ক এবং এর পরিচালনাকারী ক্ষমতার ব্যাপারে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।