আজকের সকালটা র্যাপার বাদশার (Badshah) জন্য একদম স্বাভাবিক ছিল না। চণ্ডীগড়ের বাদশার দুটি ক্লাবে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে, যা পুরো শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়। জানা গেছে, এই বিস্ফোরণটি দেশীয় বোমা দিয়ে ঘটানো হয়েছে। পুলিশ (Punjab Police) ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশ (Punjab Police) সূত্রে জানা যায়, বিস্ফোরণের পর চণ্ডীগড়ের সেক্টর-২৬-এ অবস্থিত গায়কের ক্লাবে ভাঙা কাঁচ এবং অন্যান্য ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটানোর সময় ক্লাবে ৭ থেকে ৮ জন উপস্থিত ছিলেন, তবে বিস্ফোরণের পর তারা কোনো বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হননি। তবে বিস্ফোরণের শব্দ শুনে ক্লাবের বাইরে কর্মরত একজন পুরান কর্মী জানালেন, তিনি যখন বাইরে এসে জানালার কাচ মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেন, তখন বুঝতে পারেন যে কোনো বড় ঘটনা ঘটেছে।
#WATCH | A suspicious explosion took place at De’Orra – Alehouse & Kitchen restaurant in Sector 26, Chandigarh
More details awaited. pic.twitter.com/AEINenqgSl
— ANI (@ANI) November 26, 2024
পুলিশের (Punjab Police) তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বিষয়টি বর্তমানে তদন্তাধীন এবং সন্দেহ করা হচ্ছে যে এটি একটি ব্যক্তিগত সমস্যার ফলস্বরূপ ঘটানো হয়েছে। ডিএসপি দিলবাগ সিং ধালিওয়াল বলেছেন, “আমরা কন্ট্রোল রুম থেকে তথ্য পেয়েছি যে এখানে কিছু ব্যক্তিগত সমস্যা রয়েছে। আমরা ফরেনসিক দলকে পাঠিয়েছি এবং কিছু প্রাথমিক বিশ্লেষণের পর জানতে পেরেছি যে বিস্ফোরণটি মালিকদের ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল।” তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে আমরা কিছু বলতে পারছি না, তবে চাঁদাবাজির উদ্দেশ্য থাকতে পারে।”
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ (Punjab Police) মনে করছে যে বিস্ফোরণটি কোনোভাবে মালিকদের কাছে টাকা আদায়ের উদ্দেশ্যে করা হয়েছে, তবে এটি এখনও নিশ্চিত নয়। বিস্ফোরণের ঘটনাস্থলে পাওয়া পাটের টুকরোগুলি ইঙ্গিত দেয় যে, সুতলি (পাটের দড়ি) দিয়ে একটি দেশীয় বোমা তৈরি করা হতে পারে, যা আতঙ্ক সৃষ্টি করতে সাহায্য করেছে। এই ঘটনাটি চণ্ডীগড়ের স্থানীয় জনগণের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে, কারণ এটি সাধারণত শহরের অভ্যন্তরে ঘটে না।
পুলিশ (Punjab Police) তদন্ত শুরু করার পর, স্থানীয় সুত্র থেকে জানা যায় যে, এটি একটি চাঁদাবাজি সম্পর্কিত বিষয় হতে পারে এবং সেখানে কোনো অপরাধমূলক চক্র জড়িত থাকতে পারে। চণ্ডীগড়ের পুলিশ মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলার সময় এও বলেছে যে তারা বিষয়টি গভীরভাবে খতিয়ে দেখছে এবং দ্রুতই ঘটনার পেছনের মূল কারণ বের করতে সক্ষম হবে।