ফের তালিবান সরকারের হর্তাকর্তা হচ্ছেন দেরাদুন মিলিটারি অ্যাকাডেমির ছাত্র স্তানিকজাই

নিউজ ডেস্ক: শেরু আবার আফগান সরকারের এক হর্তাকর্তা হবে। যে ছিল মজার ছেলে, সেই পরে হয় ভয়ঙ্কর তালিবান জঙ্গি। এমনই অদ্ভুত সব স্মৃতি আছে দেরাদুন…

Stanikzai

short-samachar

নিউজ ডেস্ক: শেরু আবার আফগান সরকারের এক হর্তাকর্তা হবে। যে ছিল মজার ছেলে, সেই পরে হয় ভয়ঙ্কর তালিবান জঙ্গি। এমনই অদ্ভুত সব স্মৃতি আছে দেরাদুন মিলিটারি অ্যাকাডেমির ১৯৮২ সালের ব্যাচের পাস আউটদের।

   

আইএমএ দেরাদুনের নথি বলছে সেখানে সেনা অফিসার হিসেবে প্রশিক্ষিত হয়েছিল আফগানিস্তান থেকে আসা শের মহম্মদ আব্বাস স্তানিকজাই। এই স্তানিকজাই ছিল প্রথম তালিবান জঙ্গি সরকারের উপপ্রধানমন্ত্রী। এখন দ্বিতীয় তালিবান সরকারের গুরুত্ব পদে বসতে চলেছে।

আরও পড়ুন আত্মসমর্পণের প্রশ্ন উড়িয়ে আমেরিকার কাছে অস্ত্রসাহায্য চাইলেন নিহত তালিবান-বিরোধী নেতার ছেলে

আইএমএ দেরাদুনে ভারত ও আফগান সরকারের মৈত্রী অনুসারে স্তানিকজাই এসেছিল সেনা অফিসারের ট্রেনিং নিতে। বন্ধুদের কাছে শেরু নামে পরিচিত ছিল।

ফের আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করেছে তালিবান জঙ্গি সংগঠন। আফগান প্রেসিডেন্ট হতে চলেছে তালিবানের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা তথা বর্তমান উপপ্রধান মোল্লা আবদুল ঘানি বারাদার। দ্বিতীয় দফার এই তালিবান সরকারের অন্যতম আলোচিত নেতা স্তানিকজাই। ১৯৯৬-২০০১ প্রথম তালিবান সরকারের আমলে জঙ্গি নেতা ছিল আফগানিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী।

Sher Mohammad Abbas Stanikzai: Top Taliban leader Stanikzai trained by Indian Military Academy - The Economic Times

ইন্ডিয়া টুডে, ইকোনোমিক্স টাইমস সহ বেশ কয়েকটি প্রথম সারির সংবাদপত্র স্তানিকজাই সম্পর্কে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। কোর্স শেষে স্তানিকজাই আফগানিস্তানে ন্যাশনাল আর্মিতে লেফটেন্যান্ট হিসেবে যোগ দেয়। পরে সেনাবাহিনি ছেড়ে জঙ্গি হয়।

তখন আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রক ছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন। সোভিয়েত বিরোধী সংঘর্ষে আমেরিকার মদত চলছিল। স্তানিকজাই মুজাহিদিন গোষ্ঠিতে নাম লেখায়। পরে তালিবান জঙ্গি সংগঠনের অন্যতম নেতা হয়।

আরও পড়ুন পাকিস্তানের পর এবার চিন, তালিবানদের ভূয়সী প্রশংসায় ভরাল বেজিং

নববই দশকে আফগানিস্তান থেকে সোভিয়েত সেনা প্রত্যাহারের পর ১৯৯৬ সালে দেশটির দখল নেয় তালিবান। কাবুলে প্রকাশ্যে খুন করা হয় সেভিয়েত অনুরাগী প্রেসিডেন্ট ডক্টর মহম্মদ নাজিবুল্লাহকে। তালিবান হামলার সেই ভয়াবহ ছবি দেখেছিল দুনিয়া।

২০০১ সালে মার্কিন সেনা আফগানিস্তানে অভিযান শুরু করলে তালিবান সরকারের পতন হয়। উপপ্রধানমন্ত্রী শের মহম্মদ আব্বাস স্তানিকজাই পালায়। তারপর গত প্রায় এক দশক ধরে কাতারের রাজধানী দোহায় বসবাস করছে এই জঙ্গি নেতা। ২০১৫ সালে দোহা শহরে তালিবান তাদের রাজনৈতিক কার্যালয়ের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব দেয় স্তানিকজাইকে।