News Desk: নিস্তেজ হয়ে পড়ছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তাঁর চিকিৎসা চলছে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। রবিবার থেকে অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসকরা চিন্তিত। এই অবস্থায় খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার জন্য ফের সরকারের কাছে আবেদন জানাল তাঁর পরিবার। যদিও দুর্নীতির মামলায় দোষী প্রমাণিত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আদালত।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, তাঁর শারীরিক প্যারামিটারগুলো এখনও আপডাউন করছে। সুগারের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় শরীরের অবস্থা খুব একটা ভালো নেই। হিমোগ্লোবিন কমে গিয়েছে। রক্ত দিতে হচ্ছে। বেশ কয়েকবার বমি করেছেন খালেদা জিয়া।
খালেদা জিয়ার অসুস্থতার খবরে বিএনপি দলের নেতা কর্মী সমর্থকরা উদ্বেগে। বারবার বিএনপি ও জিয়া পরিবারের তরফে আবেদন করা হয় বিদেশে চিকিৎসার জন্য। ইংল্যান্ডে থাকেন খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী জোবাইদা রহমান। তারেকের বিরুদ্ধে একাধিক ষড়যন্ত্র ও নাশকতার মামলায় জেলের সাজা দিয়েছে আদালত। তবে বাংলাদেশ সরকারের কাছে লন্ডন প্রবাসী তারেক ‘পলাতক’।
সূত্রের খবর, তারেক পত্নী জোবাইদা চিকিৎসক হওয়ায় শাশুড়ি খালেদা জিয়াকে তাঁর কাছে এনে চিকিৎসার করাতে চান। তবে আদালতের নিষেধাজ্ঞায় আবেদন কার্যকর করা হয়নি। বিএনপি ও খালেদা জিয়ার পরিবারের অভিযোগ, সরকার আইনি জটিলতা দেখিয়ে সেই আবেদন আটকে রেখেছে। দুর্নীতির দানে জেলের সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়ার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত।
বাংলাদেশের অন্যতম বিরোধী দল বিএনপির সুপ্রিমো খালেদা জিয়া। তিনি প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্ত্রী। বিএনপি জামাত জোটের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া এতিমখানা (অনাথ আশ্রম) ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট (দাতব্য সংস্থা) এই দুটি সংস্থার আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় জেলের সাজা হয়েছিল। কোভিড পরিস্থিতিতে তিনি জেল থেকে ছাড়া পেয়ে ঢাকার বাসভবন ‘ফিরোজা’তে ছিলেন। বাড়িতেই করোনা আক্রান্ত হন। এর পর থেকে বারে বারে অসুস্থ হচ্ছেন বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী।
<
p style=”text-align: justify;”>গত ১২ অক্টোবর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। গত ৭ নভেম্বর তিনি ঘরে ফিরেছিলেন। ফের শনিবার অবস্থার অবনতি ঘটলে বেসরকারি হাসপাতালেের সিসিইউতে নিয়ে যাওয়ায় হয় খালেদা জিয়াকে।