রানির হুকুমে ভয়াবহ হামলা মৌমাছি সেনার, বহু পেঙ্গুইন মৃত

penguin

#PenguinMurder
নিউজ ডেস্ক: সারি সারি পড়ে আছে পেঙ্গুইনরা। সবাই মৃত। প্রত্যেকের দেহে মারাত্মক আঘাত। হুল ফুটিয়ে তাদের মেরে ফেলেছে মৌমাছিরা। এই ‘হত্যাকান্ড’ বিশ্বকে স্তম্ভিত করে দিল। ঘটনাস্থল দক্ষিণ আফ্রিকার বিখ্যাত কেপটাউন সৈকত। বিবিসির খবর, অন্তত ৬০টি পেঙ্গুইনের দেহ মিলেছে। প্রত্যেকের দেহে মৌমাছির হুলের আঘাত আছে।

Advertisements

বিশেষজ্ঞদের ধারণা, মৌমাছি এমন নিয়মে চলে যে তাদের রানির হুকুমই শেষ কথা। এক্ষেত্রেও তেমনই কিছু হতে পারে। রানি মৌমাছির নির্দেশে শয়ে শয়ে মৌমাছি তেড়ে গিয়ে হামলে পড়েছিল নরম নির্বিবাদী পেঙ্গুইনদের উপর। তাদের হুলের আঘাত থেকে বাঁচার জন্য পালাতে গিয়েও যারা ক্ষতবিক্ষত হয় সেই পেঙ্গুইনরাও মরেছে। কেপটাউন সৈকত যেন পেঙ্গুইনদের বধ্যভূমি।

ভয়াবহ এক হত্যাকাণ্ড। কেন এমন হামলা করল মৌমাছিরা? সেটাই বিরাট প্রশ্ন। পেঙ্গুইন কারোর সাতে পাঁচে থাকেনা। নরম শরীর আর নরম মনোভাব নিয়েই তাদের জীবন। আর মৌমাছির দল কেন রেগেছিল তাও বড় প্রশ্ন। সবমিলে পেঙ্গুইন হত্যাকারীদের চিহ্নিত করা গেলেও হত্যার কারণটি রহস্যজনক।

বিবিসি জানাচ্ছে, কেপটাউনের কাছাকাছি দক্ষিণ আফ্রিকার ওই সৈকতে ৬৩টি বিলুপ্তপ্রায় আফ্রিকান পেঙ্গুইনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। দেশটির ন্যাশনাল পার্কের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পেঙ্গুইনের ওপর মৌমাছির আক্রমণের বিষয়ে এবারই প্রথম জানা গেল। তারা আরও বলেন, এই এলাকায় প্রতি বছর অন্তত ৬০ হাজার পর্যটকের ওপর হামলা করে থাকে এসব মৌমাছি।

Advertisements

দক্ষিণ আফ্রিকার ন্যাশনাল পার্কস এজেন্সির মেরিন বায়োলজিস্ট ড. অ্যালিসন কোক জানান, সাধারণত পেঙ্গুইন আর মৌমাছি সহাবস্থান করে থাকে। বিরক্ত না করলে মৌমাছি সাধারণত কাউকে কামড় দেয় না। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে,

হয়ত এই এলাকায় তাদের মৌচাকে আঘাতের ঘটনা ঘটেছে। ফলে ঝাঁক বেঁধে মৌমাছিগুলো পেঙ্গুইনদের কামড়াতে শুরু করে। ময়নাতদন্তে দেখা গেছে, পেঙ্গুইনের চোখের আশপাশে অনেক কামড়ের দাগ রয়েছে এবং ঘটনাস্থলে মৃত মৌমাছিও পাওয়া গেছে। এটি আসলে বিরল একটি ঘটনা।

ছোট আকারের জন্য আলাদা পরিচিতি রয়েছে আফ্রিকান পেঙ্গুইনের। দক্ষিণ আফ্রিকা এবং নামিবিয়ার উপকূল ও দ্বীপে এমন পেঙ্গুইন বাস করে।