দিব্যা ভারতী (Divya Bharti), বলিউডের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র, যাকে তার সময়ের সবচেয়ে বহুমুখী অভিনেত্রীদের মধ্যে গণ্য করা হয়। মাত্র অল্প কিছু বছরেই তিনি ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষ অভিনেত্রীদের মধ্যে নিজের স্থান তৈরি করেছিলেন। ১৯৯৩ সালে তাঁর আকস্মিক মৃত্যু (death) বলিউডে এক বড় শোকের ঢেউ সৃষ্টি করে। তাঁর মৃত্যু শুধু ভক্তদের হৃদয়ে গভীর শোক রেখেই যায়নি, বরং সেই সঙ্গে কিছু অদ্ভুত ঘটনা সৃষ্টির জন্যও পরিচিত হয়ে ওঠে।
দিব্যা ভারতী (Divya Bharti) ১৯৭৪ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা, ওম প্রকাশ ভারতী, একটি বীমা কোম্পানিতে কাজ করতেন এবং মা ছিলেন গৃহিণী। দিব্যা ছোট বয়সেই অভিনয়ের প্রতি আগ্রহী হন। মাত্র ৯ম শ্রেণীতে পড়াকালীন তিনি শখের বসে চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন। এক সাক্ষাৎকারে তাঁর মা বলেছিলেন, তিনি পড়াশোনায় খুব একটা আগ্রহী ছিলেন না, এবং অনেকটা শখের বশেই সিনেমার প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন।
দিব্যা ভারতী (Divya Bharti) মাত্র তিন বছরের মধ্যে বলিউডের অন্যতম সফল অভিনেত্রী হয়ে উঠেছিলেন। তবে, ৫ এপ্রিল ১৯৯৩ তারিখে তার আকস্মিক মৃত্যু পুরো বলিউডকে স্তম্ভিত করে দেয়। তার মৃত্যু তার ভক্তদের জন্য ছিল এক বিশাল শোকের বিষয়।
তার সহ-অভিনেতা এবং বন্ধুরা বলতেন, দিব্যা ভারতী ছিলেন একজন মেজাজি মেয়ে, যিনি খুব সহজেই সবার সঙ্গে মিশে যেতেন। শুটিং সেটে তিনি সবসময় মজা করতেন । এমনকি সিরিয়াস দৃশ্যেও বারবার হাসি থামাতে পারতেন না। তাঁর সহ-অভিনেতা কমল সাদনা এক সাক্ষাৎকারে বলেন, দিব্যার মৃত্যুর খবর তাঁর জন্য ছিল একটি চরম ধাক্কা।
দিব্যার (Divya Bharti) মৃত্যুর পর মুক্তি পায় ‘রং’, ‘শতরঞ্জ’ এবং ‘থলি মধু’ ছবিগুলি। তার সহ-অভিনেত্রী আয়েশা জুলকা, যিনি ‘রং’ ছবিতে দিব্যার সঙ্গে কাজ করেছিলেন, তিনি বলেন, “দিব্যা সবসময় বলতেন, ‘তাড়াতাড়ি কর, জীবন ছোট।’ তিনি স্পষ্টভাবে কখনো বলেননি, কিন্তু সম্ভবত তার মধ্যে এমন একটি অনুভূতি ছিল, যা তাকে সবকিছু দ্রুত করতে প্রেরণা দিয়েছিল।” আয়েশা আরও বলেন, “মনে হচ্ছে, দিব্যা জানতেন যে তাকে আমাদের সঙ্গে বেশি দিন থাকতে হবে না।”
দিব্যার মৃত্যু (Divya Bharti) পরবর্তী সময়ে একটি অদ্ভুত ঘটনা ঘটে। কয়েক মাস পর, ‘রং’ ছবির এক অনুষ্ঠানে তাঁরা গিয়েছিলেন। যখন দিব্যার ছবি পর্দায় আসে, তৎক্ষণাৎ পর্দা নিজেই পড়ে যায়। আয়েশা জুলকা বলেছিলেন, “এটি আমাদের জন্য খুবই অদ্ভুত ছিল।” এই ঘটনা অনেকেই বিশেষভাবে স্মরণ করেন। এটি আরও অনেক অদ্ভুত গল্পের জন্ম দেয়।