Dev: টলিউডের প্রথম সারির অভিনেতার মধ্যে অন্যতম হলেন দীপক অধিকারী। যিনি সিনেমা জগত থেকে শুরু করে রাজনৈতিক জগত দুই ক্ষেত্রেই মানুষের মন জয় করে নিয়েছেন। তবে আজ তাকে যতটা সফলতার চূড়ায় দেখা যায় এক সময় কিন্তু এতটা মসৃণ ছিল না তার পথ।
এক সংবাদ মাধ্যমের পক্ষ থেকে তার কাছে প্রশ্ন করা হয় তার কাছে সবচেয়ে বড় বাধা কি ছিল, তিনি প্রত্যুত্তরে জানান, “সুযোগ পাওয়াটাই তো একটা বড় বাধা। কারণ মুম্বইয়ের মধ্যবিত্ত বাড়িতে বড় হয়েছি, বাংলা লিখতে, পড়তে কিছুই পারতাম না। সেখান থেকে বাংলা ছবি করে, দ্বিতীয় ছবিতেই হিট পাওয়ার পর মনে হয়েছিল যে, না, আমাকে বাংলা বলতে, পড়তে এবং লিখতে জানতে হবে। ভাষাটাকে ধীরে ধীরে রপ্ত করাটা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল।”
তার কর্মজীবনের টারনিং পয়েন্টও উল্লেখ করতে ভোলেননি তিনি। এই প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, “আমি বলব প্রথম সুযোগ পাওয়াটাই টার্নিং পয়েন্ট। ‘অগ্নিশপথ’ আমার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। কারণ, এই ছবিটা না হলে আমি কলকাতায় আসতাম না। তারপর এসভিএফ-এর সঙ্গে যোগাযোগ ঘটে, সেকেন্ড ছবিটা হয়। তাই প্রথমটা না হলে, আমি হয়তো মুম্বইতেই থেকে যেতাম। ওখানে অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করতাম বা বাবার ক্যাটারিং ব্যবসায় যোগ দিতাম, না হয় কোনও চাকরি খুঁজে নিতাম বা মডেলিং করতাম। অনেক কিছুই হতে পারতাম। আমি তো বাই ফ্লুক চলে এসেছিলাম। আসলে সেই সময় মুম্বই থেকে বেরোতে চাইছিলাম। তাই কিছু না ভেবেই আসা। তখন আমি জানতাম এক মাসের বেশি এখানে থাকব না।”
তাঁর কথায়, “ছবি করব, চলে আসব। কে জানত এক মাসের জন্য এসে আঠারো বছর থেকে যাব!”