জামানত বাজেয়াপ্ত হবে জেনেই ‘নেতারা বেপাত্তা’, সিপিআইএমের শ্রীজীব প্রায় একলা

Shrijeeb Biswas

নিউজ ডেস্ক: রাস্তায় গলিতে প্রচার করছেন। সঙ্গে গুটিকয় যুবকর্মী সমর্থক, আর কেউ নেই! থাকার কথাও নয়, একেবারেই আনকোরা প্রার্থী তাও আবার রাজ্যে শূন্য হয়ে যাওয়া সিপিআইএম (CPIM) দলের। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেসের ‘হেরো’ প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিও অস্তিত্বের যুদ্ধে নেমেছেন। আর আছেন বিজেপির প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। তিনি যথারীতি গিমিক টানতে মরিয়া, সম্বল অবাঙালি ভোটার। ভবানীপুরের উপনির্বাচনে এটাই তিন প্রতিদ্বন্দ্বীর চালচিত্র।

Advertisements

ভবীনীপুর তৃণমূল কংগ্রেসের সেফ সিট। বিধানসভা ভোটে এই কেন্দ্রে জয়ী হন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে বিজেপির কাছে পরাজিত হন। দল যেহেতু বিপুল শক্তি নিয়ে তৃতীয়বার সরকার গড়েছে তাই মুখ্যমন্ত্রী পদেই আছেন মমতা। প্রাক্তন বিধায়ককে নির্বাচন কমিশনের নিয়মে জিতে বিধানসভা ঢুকতে হবে। মমতা মরিয়া জিততে। বিজেপি মরিয়া আটকাতে। আর ‘বামেরা মরিয়া তাদের প্রার্থীকে জামানত খোয়াতে!’ এমনই কটাক্ষ টিএমসি ও বিজেপি শিবিরের।

   

Shrijeeb Biswas

বিধানসভা ভোটে বামফ্রন্ট, কংগ্রেস, ও আইএসএফের মধ্যে যে আসন সমঝোতা হয়েছিল তার নিরিখে সংযুক্ত মোর্চা লড়াই করে। একটি আসন তাদের জুটেছে। ভোট শেষ জোট শেষ অনেকটা এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন সিপিআইএমের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি।

Advertisements

ভবানীপুরের উপনির্বাচনে তাই একলা বামফ্রন্ট। কংগ্রেস ভবানীপুরে প্রার্থী দেবেনা ঘোষণা করেছে। আইএসএফ এখন বামেদের কাছে অছ্যুত। তবে ভবানীপুর কেন্দ্রে সিপিআইএম প্রার্থী প্রচার শুরু করেছেন। প্রচার দেখে এলাকার বাম কর্মী সমর্থকদের আক্ষেপ নেতারা কবে যে বুঝবেন। এভাবে ছেলেটাকে একলা ঠেলে দিলেন কেন?

শ্রীজীব বিশ্বাস হাঁটছেন। তাঁর পিছনে রয়েছে টানা চৌত্রিশ বছরের দীর্ঘ সময়ের বাম জমানার কঙ্কাল।