বিতর্কিত মন্তব্যে মিঠুন, পুলিশের হাত বাঁধল হাই কোর্ট

বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty) গত কয়েক বছর ধরেই তাঁর নানা মন্তব্যের কারণে বিতর্কিত হচ্ছেন। তার সাম্প্রতিক এক মন্তব্যের জন্য আবারও তাঁর…

calcutta-high-court-restrains-police-action-against-mithun-chakraborty

বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty) গত কয়েক বছর ধরেই তাঁর নানা মন্তব্যের কারণে বিতর্কিত হচ্ছেন। তার সাম্প্রতিক এক মন্তব্যের জন্য আবারও তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি কিছু গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করেছেন, যা মিঠুন চক্রবর্তীর ক্ষেত্রে বেশ বড় ধরনের রায় হতে পারে।

বিচারপতি ঘোষ মামলার শুনানিতে স্পষ্টভাবে জানান, মিঠুন চক্রবর্তীর (Mithun Chakraborty) বিরুদ্ধে পুলিশ কোনো কড়া পদক্ষেপ নিতে পারবে না। তবে তাঁর বিতর্কিত মন্তব্যের বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি পেয়েছে পুলিশ। আদালত আরও বলেন যে, মিঠুন চক্রবর্তীকে তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে। তবে তাঁকে এমন কোনো কাজ করতে বলা যাবে না, যা তাঁর বিপদের কারণ হতে পারে।

kolkata24x7-sports-News

   

আদালতের (Calcutta High Court) পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty), যিনি দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার প্রাপ্ত এক খ্যাতনামা অভিনেতা। বর্তমানে তিনি মুম্বইয়ের স্থায়ী বাসিন্দা। সুতরাং তাঁর পক্ষে কলকাতায় এসে সশরীরে হাজিরা দেওয়া সম্ভব নয়। তবে যদি তদন্তকারীরা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান, তাহলে তাঁকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে। অর্থাৎ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রশ্ন করতে পারবেন।

এছাড়া, হাইকোর্ট (Calcutta High Court) আরও জানান, মিঠুন চক্রবর্তীর (Mithun Chakraborty)ওই বিতর্কিত মন্তব্যের ফলে কোথাও কোনো গন্ডগোল সৃষ্টি হয়েছে বা কারও কোনো ক্ষতি হয়েছে। সেই ধরনের কোনো উদাহরণ পুলিশ আদালতে তুলে ধরতে সক্ষম হয়নি। এর মানে মিঠুনের মন্তব্যের কারণে বাস্তবে কোনো ক্ষতি বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়নি।

এমতাবস্থায়, মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে আরও বিস্তারিত শুনানির প্রয়োজন রয়েছে বলে আদালত মন্তব্য করেন। আদালত উক্ত মামলায় মামলাকারী এবং রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এই হলফনামা জমা দেওয়ার পর, আগামী মে মাসে এই মামলার পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

এটি প্রথমবার নয়, যখন মিঠুন চক্রবর্তীর (Mithun Chakraborty)বিরুদ্ধে মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে তাঁর একটি সিনেমার সংলাপ ব্যবহার করে হুঁশিয়ারি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সে সময়ও আদালত মিঠুনের বিরুদ্ধে মামলা নাকচ করে দিয়েছিল। কারণ আদালত জানিয়েছিল সভা থেকে সিনেমার সংলাপ ব্যবহার করাটা কোনো অপরাধ নয়। অতিরিক্তভাবে, এমন মন্তব্য করলে অন্য নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাবে না।

মিঠুন চক্রবর্তীর (Mithun Chakraborty) বিরুদ্ধে মামলা এবং তাঁর বক্তব্যের ব্যাপারে আদালতের পক্ষ থেকে কিছু সময়ের জন্য স্থগিতাদেশও জারি করা হয়েছিল। তবে এই নতুন মামলায় আদালত আরও গভীরভাবে তদন্ত ও শুনানি করার নির্দেশ দিয়েছে। আগামী মে মাসে এই মামলার পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। তখন দেখা যাবে মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে মামলার পরিণতি কী হয়।