কুনালের কটাক্ষের জবাব দিয়েই টুইটার থেকে ‘উধাও’ অরিজিৎ?

অরিজিৎ সিং (Arijit Singh) নামের একটি এক্স হ্যান্ডেল রয়েছে। সেই হ্যান্ডলের শিরোনামে রয়েছে ‘হুঅ্যামআই’ শিরোনাম। ভক্তদের দাবি এটাই অরিজিতের এক্স হ্যান্ডেল। সেখান থেকেই আরজি করে…

অরিজিৎ সিং (Arijit Singh) নামের একটি এক্স হ্যান্ডেল রয়েছে। সেই হ্যান্ডলের শিরোনামে রয়েছে ‘হুঅ্যামআই’ শিরোনাম। ভক্তদের দাবি এটাই অরিজিতের এক্স হ্যান্ডেল। সেখান থেকেই আরজি করে ঘটনা নিয়ে নানান মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। শুক্রবারই তাঁর সদ্য প্রকাশিত আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে ‘আর কবে’ গানটির জন্য কুনাল ঘোষের কটাক্ষের মুখে পড়েন অরিজিৎ। কটাক্ষের জবাবও দেওয়া হয় অ্যাকাউন্টটি থেকে। তাঁর পরেই নিষ্ক্রিয় হয়ে যায় অ্যাকাউন্টটি !

শুক্রবার একটি টুইট করে তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুনাল ঘোষ জাতীয় পুরষ্কার বিজয়ী গায়ককে তীব্র কটাক্ষ করে প্রশ্ন তোলেন যে কেন অরিজিৎ সিং মহারাষ্ট্রের বদলাপুরের একটি স্কুলে যৌন নির্যাতনের শিকার দুই কিন্ডারগার্টেন মেয়ের বিচারের দাবিতে একই রকম একটি গান প্রকাশ করেননি। এদিন টুইটে তিনি লিখেছেন, “অরিজিৎ সিং অপূর্ব গায়ক। ছেলেটিও ভালো।তিলোত্তমার ন্যায়বিচার চেয়ে গানটি যথাযথ, সমর্থন করি।কিন্তু সমস্যা হল বিবেক জাগে শুধু বাংলায়।মহারাষ্ট্রের বদলাপুর নিয়ে হিন্দিতে গান হয় না। বা সাক্ষী মালিকদের নিয়ে।কারণ ওটা মূল কর্মক্ষেত্র, হিন্দিজগত, কাজ, টাকা, কেরিয়ার, তাই চুপ?”

   

কাস্টিং কাউচ রুখতে ফেডারেশনের বড় পদক্ষেপ, আসছে ‘সুরক্ষা বন্ধু’

এর উত্তরে অরিজিতের সেই অ্যাকাউন্ট থেকে বেশ কয়েকটি পোস্ট করা হয়। প্রথমটিতে লেখা হয়, “ঠাকুরঘরে কে, আমি তো কলা খাইনি। “পরের পোস্টে লেখা হয়, “মিডিয়াতে কেস সংক্রান্ত অনেক নতুন তথ্য সামনে আসছে, যেমন নীল/সবুজ চাদর, সেমিনার হলের দুটো দরজা, এতে পরিষ্কার কেসটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছিল।” সর্বশেষ টুইটটি ছিল, “শিক্ষক দিবসের অপেক্ষা। “

আরজিকর কাণ্ড নিয়ে প্রথম থেকেই সরব ছিলেন অরিজিৎ। গানের মাধ্যমে অরিজিৎ সিং শ্রোতাদের প্রশ্ন করেন- “কবে মন মুক্ত হবে? কবে চোখ খুলবে? কবে আমরা সহানুভূতি জানাব?” গানটি ইতিমধ্যেই ইউটিউবে ৩ লক্ষেরও বেশি ভিউ এবং ৪৭,০০০ লাইক অর্জন করেছে। এই গানটি দু’দিন আগে প্রকাশিত হয়েছিল যখন এই ঘটনার প্রতিবাদে কলকাতায় বিক্ষোভ থামাতে অস্বীকার করেন বিক্ষোভকারীরা। গানটির অর্থ ব্যাখ্যা করে অরিজিৎ সিং একটি পোস্টে লিখেছিলেন, “এটি কেবল একটি প্রতিবাদী গান নয়, এটি একটি কর্মের আহ্বান। এটি একটি অনুস্মারক যে মহিলাদের সুরক্ষা এবং মর্যাদার জন্য আমাদের লড়াই এখনও শেষ হয়নি।”

প্রসঙ্গত ‘হুঅ্যামআই’ টুইটার প্রোফাইল থেকে একবার লাইভ এসেছিলেন অরিজিৎ। তাঁর প্রতিবাদী গান ‘আর কবে’ প্রকাশ করে তিনি লিখেছিলেন, “…এ ব্যাথা আমার, নয় শুধু একার, বিপ্লবী তিলোত্তমা করেছে অঙ্গীকার, লুটিয়েছে প্রাণ তাই ধরেছি গান, করছি প্রার্থনা বিফল না যায় সে বলিদান…।”

স্বাভাবিকভাবেই ভক্তদের মনে প্রশ্ন উঠছে ঠিক কী কারণে টুইটার ছাড়লেন গায়ক? রাজনৈতিক মন্তব্যের কারণে কী গায়কের ওপর কোনও চাপ এসেছিল? নাকি স্বেচ্ছায় সকাল মিডিয়া থেকে বিরতি নিলেন তিনি ? উত্তর খুঁজছেন অনেকেই।