ফের বিতর্কে বচ্চন পরিবার,আত্মহত্যা প্ররোচনা অভিযোগ ‘বিগ বি’ জামাইয়ের নামে!

ফের বিতর্কের মুখে বচ্চন পরিবারের (Bachchan family)। সম্প্রতি অভিষেক বচ্চন ও ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের বিচ্ছেদের গুঞ্জন ঘিরে টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। এই পরিস্থিতি শান্ত হতে…

amitabh-bachchans-son-in-law-nikhil-nanda-booked-fraud-abetment-suicide

ফের বিতর্কের মুখে বচ্চন পরিবারের (Bachchan family)। সম্প্রতি অভিষেক বচ্চন ও ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের বিচ্ছেদের গুঞ্জন ঘিরে টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। এই পরিস্থিতি শান্ত হতে না হতেই নতুন এক চাঞ্চল্যকর খবর উঠে এসেছে বচ্চন পরিবারে। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই শোরগোল শুরু হয়েছে বলিউড অঙ্গনে। নতুন বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু হলেন অমিতাভ বচ্চনের (Amitabh Bachchan) জামাই নিখিল নন্দ (Nikhil Nanda) । তিনি বর্তমানে এক গুরুতর অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন।

উত্তর প্রদেশের বদায়ূঁ জেলার দাতাগঞ্জ থানায় নিখিল নন্দের (Nikhil Nanda) বিরুদ্ধে মানসিক হেনস্থা এবং আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এই অভিযোগটি দায়ের করেছেন পাপড় হামজাপুর গ্রামের বাসিন্দা জ্ঞানেন্দ্র সিংহ। অভিযোগকারী জানিয়েছেন, তার ভাই জিতেন্দ্র সিংহ দাতাগঞ্জে একটি ট্র্যাক্টর এজেন্সি চালাতেন এবং তাকে কিছু সংস্থার কর্মকর্তারা অত্যন্ত চাপ সৃষ্টি করছিলেন।

   

জ্ঞানেন্দ্র সিংহের অভিযোগ অনুযায়ী, তাঁর ভাই জিতেন্দ্রকে সংস্থার আঞ্চলিক ম্যানেজার আশিস বালিয়ান, বিক্রয় বিভাগের কর্মী সুমিত রাঘব, আঞ্চলিক অধিকর্তা দীনেশ পন্থ, অর্থ সংগ্রহ বিভাগের প্রধান পঙ্কজ ভাস্কর, বিক্রয় বিভাগের অন্য এক কর্মী অমিত পন্থ, বিক্রয় বিভাগের প্রধান নীরজ মেহরা, শাহজাহপুরের ডিলার শিশান্ত গুপ্ত এবং সংস্থার সিইও নিখিল নন্দ বিক্রি বাড়ানোর জন্য ক্রমাগত চাপ দিচ্ছিলেন। অভিযোগকারীর আরও দাবি, বিক্রির চাপ বাড়ানোর পাশাপাশি তাঁকে ডিলারশিপের শংসাপত্র কেড়ে নেওয়ার হুমকিও দেওয়া হচ্ছিল।

এই চাপ সহ্য করতে না পেরে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন জিতেন্দ্র সিংহ। সেই হতাশা একাধিক বার তিনি তার পরিবারকে জানিয়েছেন। তবে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে থাকে। তার উপর হেনস্থার মাত্রা বাড়তে থাকে বলে অভিযোগ।

গত ২১ নভেম্বর সংস্থার কর্তাব্যক্তিরা জিতেন্দ্র সিংহের এজেন্সির অফিসে উপস্থিত হয়ে তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। এই অপ্রত্যাশিত আচরণ তিনি আর সহ্য করতে পারেননি। পরদিন ২২ নভেম্বর, মানসিক চাপের কারণে জিতেন্দ্র আত্মহত্যা করেন।

জ্ঞানেন্দ্র সিংহের অভিযোগ, তিনি থানায় অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেননি। এরপর তিনি আদালতের শরণাপন্ন হন। আদালতের নির্দেশে নিখিল নন্দ সহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার সকল অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়।