কিশোর কুমারকে গানে গানে শ্রদ্ধা জানাল কসবা শিল্পী সংসদ

কিশোর কুমার…নামটাই যথেষ্ট। তিনি একাধারে একজন দক্ষ অভিনেতা, গীতিকার, সুরকার, প্রযোজক, পরিচালক, চিত্রনাট্যকার ছিলেন। ‘খওয়াব হো তুম ইয়া কোই হকিকত’ থেকে ‘পাল পাল দিল কে…

কিশোর কুমার…নামটাই যথেষ্ট। তিনি একাধারে একজন দক্ষ অভিনেতা, গীতিকার, সুরকার, প্রযোজক, পরিচালক, চিত্রনাট্যকার ছিলেন।
‘খওয়াব হো তুম ইয়া কোই হকিকত’ থেকে ‘পাল পাল দিল কে পাস’, ‘জিন্দেগি কে সাফার মে’মকাম’ থেকে শুরু করে ‘খাইকে পান বানারাসওয়ালা’, এবং ‘খিলতে হ্যায় গুল ইয়াহান’ থেকে ‘কেয়া ইয়ে হ্যায় প্যায়ার হ্যায়’, কিশোর কুমারের মৃদু কণ্ঠস্বর এখনও দেব আনন্দ থেকে ধর্মেন্দ্র, রাজেশ খান্না থেকে অমিতাভ বচ্চন, এবং শশী কাপুর থেকে সঞ্জয় দত্ত পর্যন্ত তারকাদের জন্য প্রতিধ্বনিত হয়।

তাঁর গলা শুধুমাত্র হিন্দিতেই সীমাবদ্ধ থাকেনি।
কিশোর কুমার বিভিন্ন ভারতীয় ভাষায় গান গেয়েছেন,যার মধ্যে রয়েছে বাংলা, হিন্দি, মারাঠি, অসমীয়া,গুজরাটি, কন্নড়, ভোজপুরি, মালয়ালম, ওড়িয়া, এবং উর্দু। এছাড়াও তিনি তার ব্যক্তিগত গান সংকলনেও বিভিন্ন ভাষায় গান গেয়েছেন,বিশেষত তার বাংলায় গাওয়া গানগুলি সর্বকালের ধ্রুপদী গান হিসেবে বিবেচিত হয়।

   


১৯৩৯ সালের ৪ঠা আগস্ট কিশোর কুমার জন্মগ্রহণ করেন। শিল্পীকে শ্রদ্ধা জানাতে গোটা মাস ধরেই বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে শিল্পীকে গানের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানানোর চেষ্টা করা হয়। কিশোর কুমারের গান বাঙালির কাছে আজও একই ভাবে জনপ্রিয়।প্রতিবছরের মত চলতি বছরেও কিশোর কুমারকে গানে গানে শ্রদ্ধা জানাল কসবা শিল্পী সংসদ।

সংস্থার ডাকে অন্যান্য বছরের মত এবারও সংগীত পরিবেশন করতে উপস্থিত ছিলেন গজলশিল্পী জেনিভা রায়। কোভিড পরিস্থিতি থাকায় গত দুই বছর জাকজমক করে অনুষ্ঠান না হলেও ছোট করে অনুষ্ঠানের আয়জন করেছিল এই সংস্থা। এবছর শিল্পীর ৯৩ তম জন্মদিন সেলিব্রেট করা হয়। এদিন অমরশিল্পী কিশোরকুমারকে চারটি গানের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেনিভা।