৩১তম আন্তর্জাতিক কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের ঘোষণা হয়ে গেল দিন, রয়েছে এই সমস্ত চমকও

31st Kolkata International Film Festival to Light Up the City This November

কলকাতা, ২৮ অক্টোবর: নগরীর রঙ নতুন করে ধরতে চলেছে। এই ৬ নভেম্বর থেকে এক সপ্তাহ ধরে অনুষ্ঠিত হবে আন্তর্জাতিক কলকাতা চলচ্চিত্র (KIFF2025) উৎসবের।(31st Kolkata International Film Festival) এক ঐতিহাসিক মুহূর্তে, দৃষ্টিনন্দন সেই সিনেমা দিয়েই উৎসবের ঢেউ উঠছে — সপ্তপদী (পরিচালক অজয় কর, অভিনয় করেছেন উত্তম কুমার ও সুচিত্রা সেন)। এই তথ্য উৎসবের সূচি ঘোষণা করা হয়েছে মঙ্গলবার নন্দনে। সাংবাদিক সম্মেলনে, যেখানে রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ঘোষণা করেন উদ্বোধক অনুষ্ঠান এবং অন্যান্য বড় খবর।

Advertisements

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বলেও জানা গিয়েছে। প্রতি বছরের মতো এবারের উৎসবেও অংশ নিচ্ছেন বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়। উদ্বোধনী দিন বিকেল ৫টায় ধনধান্য স্টেডিয়ামে এই উৎসবের শুভ সূচনা হবে। এই ৩১তম সংস্করণে মোট দেখা যাবে ৩৯টি দেশ থেকে বাছাই করা ২১৫টি চিত্রকর্ম — যার মধ্যে রয়েছে ১৮৫টি পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ছবি ও ৩০টি স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি। উৎসবে শুধু বাংলা কিংবা হিন্দি সিনেমা নয়, কোঙ্কনি, বোরো, তুলু, সাঁওতালি সহ একাধিক উপভাষার ছবি-ও জায়গা পেয়েছে। এই বৈচিত্র্যই উৎসবের একমাত্র আকর্ষণ নয় — বরং একটি বৃহত্তর থিম ও আন্তর্জাতিক প্রসারণও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, এবারের ফোকাস দেশ হয়েছেন পোল্যান্ড, যা বিভিন্ন বিভাগের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক দর্শক ও নির্মাতাদের আকর্ষণ করবে।

   

উদ্বোধনী চলচ্চিত্র: পরিচালক অজয় কর পরিচালিত ‘সপ্তপদী’ ছবিতে দর্শকরা ফিরে পাবেন এক অন্য প্রজন্মের বাংলা চলচ্চিত্রের ছোঁয়া।

প্রদর্শিত চলচ্চিত্র সংখ্যা ও বৈচিত্র্য: ২১৫টি ছবি, ৩৯টি দেশ, ভাষা ও উপভাষা-ভিত্তিতে দক্ষিণ থেকে উত্তর, পূর্ব থেকে পশ্চিম—বহুমাত্রিক।

উপভাষার ছবি অন্তর্ভুক্তি: কোঙ্কনি, বোরো, তুলু, সাঁওতালি-সহ ভাষাসমূহ উৎসবে স্থান পেয়েছে, যা ভারতীয় ভাষা-সংস্কৃতির বহুবৃর্ত্ততা প্রতিফলিত করে।

Advertisements

উদ্বোধনী ও বিশেষ অনুষ্ঠান: মুখ্যমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন, বিশেষ নৃত্যশিল্পী অংশ নেবেন, স্টেডিয়ামে উৎসবের ঘন ঘনানন্দ মুহূর্ত ঘটবে।

এই উৎসব শুধু সিনেমা দেখার ইভেন্ট নয়, বরং একটি সাংস্কৃতিক মিলন-বিন্দু। কলকাতা—যে-শহর বাংলা চলচ্চিত্র ও বিশ্বসিনেমার সংযোগস্থল হিসেবে পরিচিত—এইবারেও দৃষ্টিনন্দন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। উৎসবের প্রতিটি দিন নতুন সিনেমা-নির্মাতা, নতুন ভাষার গল্প এবং নতুন দৃষ্টিকোণ নিয়ে আসবে।