News Desk: বাংলাদেশ (Bangladesh) প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ রাব্বীকে পিটিয়ে খুনের মামলায় তারই সহপাঠি ২০ জনকে ফাঁসির সাজা দিল আদালত। চাঞ্চল্যকর এই মামলার রায় জানতে বাংলাদেশবাসী ছিলেন মুখিয়ে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের শাখা সংগঠন ছাত্র লীগের সঙ্গে জড়িত ছিল। বিতর্কের মুখে অভিযুক্তদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে ছাত্র লীগ সংগঠনটি।
আবরার হত্যা মামলায় অভিযুক্তরা দোষী প্রমানিত হয়। বুধবার তাদের ২০ জনকে ফাঁসির সাজা আরও ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনানো হয়েছে। এই মামলার তিন আসামী পলাতক। রায়ের জেরে চরম অস্বস্তিতে শেখ হাসিনার সরকার। রায় দ্রুত কার্যকরী হোক দাবি করেছে মৃত ছাত্রের পরিবার।
২০১৯ সালের ৫ অক্টোবর বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বিভিন্ন চুক্তি নিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন বুয়েট (Bangladesh University of Engineering and Technology) ছাত্র আবরার ফাহাদ রাব্বী। তিনি নিজের ফেসবুকে ফেসবুক পোস্টে ভারত সরকারকে বাংলাদেশের মংলা বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া, ফেনী নদী জলবন্টন সহ কিছু বিষয়ে সরকারের সমালোচনা করেছিলেন।
এর জের ধরে পরদিন ৬ অক্টোবর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরেবাংলা হলের আবাসিক ছাত্র আবরারকে তার কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে যায় ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। হোস্টেলের ১০১১ নম্বর রুমে আবরারকে পিটিয়ে খুন করা হয়। তদন্তে নেমে শেরেবাংলা হলের সিঁড়ি থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
<
p style=”text-align: justify;”>পুরো ঘটনা সিসিটিভি ফুটেজ হয় অন্যতম সূত্র। এই ফুটেজ ভাইরাল হয় সামাজিক মাধ্যমে। চাঞ্চল্যকর এই মামলার তদন্তে উঠে আসে বাকি সূত্র। জেরায় অভিযুক্তরা দায় স্বীকার করেছে বলে জানায় পুলিশ।