২০২৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক টেট পরীক্ষা হয়েছিল। তারপর সাত মাস পার। ফলাফলের জন্য হাপিত্যেশ করছিলেন পরীক্ষার্থীরা। শেষমেষ সেই অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সূত্রে খবর, টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট বা টেট- এর ফল আগামী জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহেই প্রকাশিত হতে পারে।
পর্ষদের তরফে খবর, আনসার কি নিয়ে করা চ্যালেঞ্জ গ্রহণের প্রক্রিয়া শেষ। এবার ফাইনাল অ্যানসার কি আপলোড করা হবে। তার পরেই টেট ২০২৩-এর ফল ঘোষণা করে দেবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
২০২৩ সালে টেট পরীক্ষা দিয়েছিলেন ২ লক্ষ ৭২ হাজার জন। কোন প্রশ্নের সঠিক উত্তর কোনটি সেটা জানাতে ৭ই মে পরীক্ষার আনসার কি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। যদি কোনও প্রশ্নের সঠিক উত্তর নিয়ে কোনও পরীক্ষার্থীর দ্বিমত থাকে, সেক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ করারও সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ জানানোর সময়সীমা নির্ধারিত হয়েছিল ১০ মে থেকে ৯ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত। এর পরে পর্ষদের বিশেষজ্ঞরা সব কিছু যাচাই করার পরে চূড়ান্ত আনসার কি প্রকাশ করবেন। এবং তার ভিত্তিতেই ফলাফল প্রকাশ করা হবে বলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে জানা গিয়েছে।
গৌতম পাল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পরই জানিয়েছিলেন যে, বছরে দু’বার টেট গ্রহণ করা হবে। সেই মতো ২০২২ সালের পর ২০২৩ সালেও টেট পরীক্ষা হয়। অবস্য নিয়োগ দুর্নীতির আহবেই ২২ সালের তুলনায় ২৩ সালে মোট টেট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৫০ শতাংশ কম ছিল। অবশ্য, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের যুক্তি- ২৩ সালে ডিএলএড উত্তীর্ণরাই শুধু পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পেরেছিলেন, ফলে টেট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যায়।