সিভিক ভলান্টিয়াররা (civic volunteers) ভালো কাজ করলে এবার থেকে স্থায়ী চাকরির সুযোগ পাবেন। যা নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর, সোমবার নবান্নে প্রশাসনিক কর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই এই প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। তবে কিভাবে এই নিয়োগ হপবে? কারা সুযোগ পাবে? এমনকি এই নির্দেশ আদৌ কার্যকর হবে কি না, তা নিয়ে এখনও স্পষ্ট করে কিছুই জানা যায়নি।
নবান্ন সূত্রে খবর, রাজ্যের বিভিন্ন থানায় কনস্টেবল পদ খালি রয়েছে। অনেকের পদোন্নতির কারণে সেই পদ খালি রয়েছে। আগামী দিনে আরও পদ খালি হবে। সেখানেই দক্ষ সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়োগের পরিকল্পনা নিয়েছেন তিনি। নিজের অধীনে থাকা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, এর জন্য প্রাথমিক কিছু বিষয় মাথায় রাখা হয়েছে। এক, কাজের ক্ষেত্রে যোগ্য হয়ে উঠতে হবে। প্রতিটি কাজ দায়িত্বের সঙ্গে পালন করছেন কি না সেটা দেখা হবে। দুই, এই পদে সেখানেই নিয়োগ করা হবে, যেখানে কনস্টেবল পদ খালি রয়েছে। তিন, যাদের নাম উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আসবে তাঁদের বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। সেই দায়িত্ব থাকবে পুলিশ সুপারের ওপরেই।
একইসঙ্গে জানা গেছে, কোন সিভিক ভলান্টিয়ার কতটা দক্ষ? তা নিয়ে সেখানকার ওসি এবং এসডিপিওর পাঠানো রিপোর্ট নির্ভর করবে। তাই নতুন করে সিভিক ভলান্টিয়ার পদে নিয়োগ নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। দীর্ঘ দিন ধরে কাজ করার পর নিজেদের পদোন্নতির সম্ভাবনা দেখতে পেয়ে উচ্ছ্বাসিত তাঁরা।
যদিও কলকাতা থেকে জেলাস্তরের একাধিক জায়গায় সিভিক ভলান্টিয়াররা বিভিন্ন কাজে পুলিশকে সহায়তা করেন। তাঁদের স্থায়ীকরণের ইস্যুতে একাধিকবার সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলি। এর ফলে সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলাতেই তার প্রভাব পড়বে। যদিও এই প্রস্তাব আসলে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে দেখেই নেওয়া হয়েছে। এমনটাই অভিমত বিরোধীদের।