SSC নিয়োগে আগ্রহ কম, বাড়ানো হল আবেদনের সময়সীমা

চলতি বছরে স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রত্যাশিত সাড়া মেলেনি। (SSC) কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির জন্য ৩৫ হাজারেরও বেশি…

Protest Erupts in Karunamoye: 2022 TET Pass Candidates Clash With Police, Many Forcibly Detained

চলতি বছরে স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রত্যাশিত সাড়া মেলেনি। (SSC) কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির জন্য ৩৫ হাজারেরও বেশি শূন্যপদে নিয়োগের উদ্দেশ্যে ১৬ জুন থেকে অনলাইনে আবেদন গ্রহণ শুরু হয়। শুক্রবার পর্যন্ত মাত্র চার লক্ষ প্রার্থী আবেদন করেছেন, যা সম্ভাব্য প্রার্থীর সংখ্যা থেকে অনেকটাই কম।(SSC) 

শিক্ষা মহলের মতে, ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার অভিজ্ঞতা ও (SSC) বর্তমানে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও বিএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রার্থীর সংখ্যা বিচার করলে অন্তত সাত থেকে সাড়ে সাত লক্ষ আবেদন প্রত্যাশিত ছিল। বাস্তবের চিত্র অনেকটাই ভিন্ন, যা প্রশাসনিক মহলে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।(SSC) 

   

আবেদনে কম সাড়ার অন্যতম কারণ হিসেবে প্রযুক্তিগত সমস্যাকে দায়ী করা হচ্ছে।(SSC) কমিশনের ওয়েবসাইটে একাধিকবার সার্ভার সমস্যায় ভুগতে হয়েছে প্রার্থীদের। বিশেষত ওবিসি শ্রেণিভুক্ত আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে ক্যাটিগরি (এ/বি) নির্বাচন করতে গিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। এই সমস্যার জেরে প্রায় পাঁচ দিন আবেদন পোর্টাল পুরোপুরি বন্ধ ছিল।(SSC) 

ফলে প্রাথমিকভাবে নির্ধারিত ১৪ জুলাই আবেদনের শেষ তারিখ পরিবর্তন করে তা আরও এক সপ্তাহ(SSC) বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে স্কুল শিক্ষা দপ্তরের এক কর্তা। যদিও সরকারি ভাবে বিজ্ঞপ্তি এখনো প্রকাশিত হয়নি, তবে সংশ্লিষ্ট মহলে ইতিমধ্যেই তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে।(SSC) 

এই সময়সীমা বৃদ্ধির পেছনে আরও একটি বড় কারণ হিসেবে উঠে আসছে সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন দুটি গুরুত্বপূর্ণ মামলা। ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ বাতিল করে শীর্ষ আদালতের প্রাক্তন(SSC) প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চ যে রায় দিয়েছিল, তা পুনর্বিবেচনার জন্য রাজ্য সরকার, স্কুল সার্ভিস কমিশন ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদ রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছে।

Advertisements

একইসঙ্গে ওবিসি সংরক্ষণ নীতি (SSC) নিয়েও উচ্চ আদালতে রাজ্যের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে। এই দুটি মামলার শুনানি গ্রীষ্মকালীন ছুটির পরে, ১৪ জুলাই থেকে শুরু হওয়া নিয়মিত বেঞ্চে হওয়ার কথা। সেই শুনানির আগে নিয়োগ প্রক্রিয়ার আবেদনের সময়সীমা শেষ করতে কমিশন আপাতত অনিচ্ছুক।

এখন প্রশ্ন উঠছে, এই মামলার রায় না আসা পর্যন্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া পুরোপুরি অনিশ্চয়তার মধ্যে থাকবে কি না। শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বহু প্রার্থীই এখন উদ্বিগ্ন। অনেকেই মনে করছেন,(SSC) ২০১৬ সালের বিতর্কিত নিয়োগ বাতিলের প্রভাব এখনো পিছু ছাড়ছে না এসএসসি-র।

নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনার উদ্দেশ্যে কমিশন ও শিক্ষা দপ্তর একাধিক পদক্ষেপ নিলেও প্রার্থীদের মধ্যে আস্থা ফিরে আসেনি বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। প্রযুক্তিগত সমস্যা, প্রশাসনিক জটিলতা ও আইনি টানাপড়েন—সব মিলিয়ে গোটা প্রক্রিয়াটি আপাতত সংশয়ের মধ্যেই রয়েছে।(SSC) 

বর্তমানে যাঁরা আবেদন করতে পারেননি, তাঁদের জন্য সময়সীমা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত স্বস্তির হলেও সামগ্রিকভাবে এই চিত্র যে এক ধরনের হতাশা ও অনিশ্চয়তার প্রতিচ্ছবি—তা বলাই বাহুল্য। আগামী দিনে শীর্ষ আদালতের রায় ও কমিশনের পদক্ষেপের দিকেই এখন তাকিয়ে রাজ্যের লক্ষ লক্ষ চাকরিপ্রার্থী।(SSC)