চরম বিভ্রান্তি! NEET-র একই প্রশ্নের দু’টি উত্তরই সঠিক? আইআইটি-র দুয়ারে সুপ্রিম কোর্ট

স্নাতকস্তরে ডাক্তারির ভর্তির প্রবেশিকা পরীক্ষা NEET-এর একটি প্রশ্নকে কেন্দ্র করে নজিরবিহীন বিতর্ক। একটি প্রশ্ন, দু’টি উত্তর। দু’টিই আবার সঠিক! পদার্থবিদ্যার পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে উত্তর…

One question two answers in NEET exam Supreme Court seeks opinion from IIT panel , চরম বিভ্রান্তি! NEET-র একই প্রশ্নের দু'টি উত্তরই সঠিক? আইআইটি-র দুয়ারে সুপ্রিম কোর্ট

স্নাতকস্তরে ডাক্তারির ভর্তির প্রবেশিকা পরীক্ষা NEET-এর একটি প্রশ্নকে কেন্দ্র করে নজিরবিহীন বিতর্ক। একটি প্রশ্ন, দু’টি উত্তর। দু’টিই আবার সঠিক!

পদার্থবিদ্যার পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে উত্তর জানানোর জন্য সোমবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ দিল্লি আইআইটিকে বিশেষজ্ঞ দল গঠনের নির্দেশ দিয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার মধ্যে শীর্ষ আদালতে এ বিষয়ে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।

   

সোমবার শুনানির সময় এক নিট পরীক্ষার্থীর আইনজীবী জানান, তাঁর মক্কেল ৭১১ নম্বর পেয়েছেন। অভিযোগ, এনসিইআরটির নতুন সংস্করণ অনুসারে একটি প্রশ্নের ২ এবং ৪ নম্বর অপশন, দুটিই ঠিক। প্রথমটি ঠিক, দ্বিতীয়টিও সঠিক- কিন্তু পুরনো সংস্করণ অনুসারে। নেতিবাচক মার্কিং এড়াতে মামলাকারী প্রশ্নটি এড়িয়ে যান। কিন্তু শীর্ষ আদালতে মামলাকারীর দাবি, যাঁরা ২ নম্বর অপশনটি বেছে নিয়েছেন, তাঁদেরও গ্রেস নম্বর দেওয়া হয়েছে।

যা শুনে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেছেন, ‘এনসিইআরটি-র নয়া সংস্করণ অনুসরণ করে ৪ নম্বর অপশনই সঠিক উত্তর বলে বিবেচিত হওয়ার কথা। সে ক্ষেত্রে ৪ নম্বর বিকল্পটিই সঠিক উত্তর বলে বিবেচিত। যেসব পরীক্ষার্থী দ্বিতীয় অপশন বেছে নিয়েছেন, তাঁদের পুরো নম্বর পাওয়ার কথা নয়।’

সমর্থনই সার! নীতীশকে ‘বুড়ো’ আঙুল মোদীর, জুটল না বিশেষ রাজ্যের স্বীকৃতি

পরীক্ষার আয়োজক সংস্থা এনটিএ-র হয়ে আদালতে সওয়াল করা কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতাকে এই বিষয়টি জিজ্ঞাসা করেন। জবাবে তিনি জানান, দু’টি অপশনের উত্তরই সঠিক হওয়ায় পরীক্ষার্থীদের পুরো নম্বর দেওয়া হয়েছে।

পাল্টা প্রধান বিচারপতি সলিসিটর জেনারেলের উদ্দেশে জানান, ২ নম্বর অপশনকে সঠিক বলে বিবেচিত করে এনটিএ নিয়মভঙ্গ করেছে। কারণ পরীক্ষা নিয়ামক সংস্থা জানিয়েছিল যে, তারা এনসিইআরটির পুরনো সংস্করণ অনুসরণ করবে। জবাবে, তুষার মেহেতা জানান যে, এনটিএ-কে অনেক পরীক্ষার্থী জানিয়েছিলেন যে তাঁরা দুস্থ। ফলে দাদা-দিদিদের বই পড়েছেন। যা এনসিইআরটির পুরনো সংস্করণের। তখন প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দেন, যেকোনও একটি অপশনকে চূড়ান্ত বলে বেছে নিতে হবে। দুই অপশন সহাবস্থান করতে পারে না।

এরপর সমস্যা সমাধানের জন্য প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আইআইটি দিল্লি থেকে বিশেষজ্ঞের মতামত চাওয়া উচিত। আমরা আইআইটি দিল্লির ডিরেক্টরকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের তিনজন বিশেষজ্ঞের একটি দল গঠন করার জন্য অনুরোধ করছি। ডিরেক্টরের দ্বারা গঠিত বিশেষজ্ঞ দলকে সঠিক অপশন নিয়ে মতামত দিতে হবে বুধবার দুপুর ১২টার মধ্যে।’