Donald Trump 2.0: আমেরিকা সারা বিশ্বের মানুষকে আকর্ষণ করে। তার কারণ এই দেশ প্রতিটি নাগরিককে পরিশ্রমের ভিত্তিতে সফল হওয়ার সুযোগ দেয়। একে বলা হয় ‘আমেরিকান ড্রিম’। আমেরিকান ড্রিমের কারণে প্রতি বছর ভারত-সহ সারা বিশ্বের লাখ লাখ মানুষ এই দেশে পৌঁছায়। কিন্তু প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পর লাখ লাখ প্রবাসীর ‘আমেরিকান ড্রিম’ হুমকির মুখে পড়েছে বলে মনে হচ্ছে। এর কারণ, ট্রাম্পও অভিবাসন নীতি (Immigration policy) কঠোর করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এই নির্বাচনে জিতেছেন।
পিউ রিসার্চ সেন্টারের 2021 সালের অনুমান অনুসারে, ভারতীয়রা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনথিভুক্ত অভিবাসীদের তৃতীয় বৃহত্তম গোষ্ঠী। যার সংখ্যা ৭,২৫,০০০। ট্রাম্প যদি তার প্রতিশ্রুতি পূরণ করেন এবং এই ধরনের অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়িত করেন, তাহলে বিপুল সংখ্যক লোককে ভারতে পাঠানো যেতে পারে। তিনি তার বিজয় ভাষণেও এর ইঙ্গিত দিয়েছেন।
H-1B ভিসা পাওয়া একটি বড় চ্যালেঞ্জ
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় ট্রাম্প একটি খসড়া অর্ডার পেশ করেছিলেন। যেখানে বলা হয়েছে, শুধু আমেরিকায় জন্মগ্রহণ করেই শিশুদের এখানকার নাগরিকত্ব পাওয়া উচিত নয়। পরিবর্তে, একজন পিতামাতাকে অবশ্যই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইনী বাসিন্দা হতে হবে। এই ট্রাম্পের খসড়া আইনে পরিণত হলে, এটি হাজার হাজার ভারতীয় পরিবারকে প্রভাবিত করবে, কারণ বর্তমানে প্রায় 1 মিলিয়ন ভারতীয় পেশাদার সবুজ কার্ডের জন্য অপেক্ষা করছে।
ওয়ার্ক পারমিট বাতিল হওয়ায় উদ্বিগ্ন
ডোনাল্ড ট্রাম্প যে খসড়া পেশ করেছেন তাতে এইচ-১বি ভিসা নীতি কঠোর করারও আহ্বান জানানো হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে ভিসার আবেদন এবং মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে গভীরভাবে যাচাই-বাছাই করা হবে। এমন পরিস্থিতিতে, H-1B ভিসা নিয়ে আমেরিকায় বসবাসকারী অনেক দম্পতিও ওয়ার্ক পারমিট বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে চিন্তিত। এই ভিসা একজনকে একটি সামাজিক নিরাপত্তা নম্বর, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে সক্ষম করে।
ভারতীয় শিক্ষার্থীদের উদ্বেগ
আমেরিকায় অধ্যয়নরত ভারতীয় ছাত্ররাও ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হওয়া নিয়ে চিন্তিত। তাদের দুটি উদ্বেগ রয়েছে। প্রথমত, ট্রাম্প আবার STEM শিক্ষার্থীদের জন্য দুই বছরের ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ কমানোর চেষ্টা করতে পারেন। দ্বিতীয়ত, ভিসার মেয়াদ কমানো যেতে পারে। এতে শিক্ষার্থীদের ওপর আর্থিক বোঝা বাড়বে।