আর্থিক অনিয়ম-সহ ভিন্ন অভিযোগে রবীন্দ্রভারতী থেকে বরখাস্ত প্রাক্তন রেজিস্ট্রার

কিছুদিন আগে নিজেই নিজের পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের (Kolkata Rabindra Bharati University) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আশিস সামন্ত। এর নেপথ্যে ছিল তৃণমূলের কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক…

Former Registrar of Rabindra Bharati University dismissed for financial irregularities and other allegations

কিছুদিন আগে নিজেই নিজের পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের (Kolkata Rabindra Bharati University) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আশিস সামন্ত। এর নেপথ্যে ছিল তৃণমূলের কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন, ছাত্র এবং শিক্ষাকর্মীদের আন্দোলন। কিন্তু কদিন যেতে না যেতেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বরখাস্ত করলেন রবীন্দ্রভারতীর প্রাক্তন রেজিস্ট্রার সুবীর মৈত্রকে।

জানা গেছে, আর্থিক অনিয়ম-সহ তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ ওঠার জন্য তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে। রবীন্দ্রভারতীর প্রাক্তন রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ওঠার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তদন্ত শুরু করে। এরপর ৫ নভেম্বর তদন্তকারী আধিকারিকরা সেই তদন্তের রিপোর্ট জমা দেয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সেই রিপোর্ট দেখে সাত দিনের মধ্যে তাঁর কাছ থেকে জবাব চেয়েছিল।

   

এরপর এগ্‌‌জিকিউটিভ কাউন্সিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক সংস্থার বৈঠকে তদন্ত রিপোর্ট, সাক্ষীদের বয়ান এবং প্রাক্তন ওই রেজিস্ট্রারের জবাবি চিঠি দেখার পর সুবীর মৈত্রকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এতদিন রবীন্দ্রভারতীর প্রাক্তন রেজিস্ট্রারের এইসব আর্থিক অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পরেও রেজিস্ট্রার পদে ছিলেন তিনি।

কিন্তু এবার সুবীরের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হওয়ার পর তাঁর পরিবর্তে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে আশিস সামন্তকে। তবে এই ঘটনার পর রবীন্দ্রভারতীর প্রাক্তন রেজিস্ট্রার সুবীরকে নিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য জানিয়েছেন, প্রাক্তন ওই রেজিস্ট্রারকে জরুরি ভিত্তিতে বরখাস্ত করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে বরখাস্ত হওয়ার জন্য তিনি অবসরকালীন কোনও সুযোগসুবিধা পাবেন না বলেও জানানো হয়েছে।

শুধু তাই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই বিজ্ঞপ্তিতে রবীন্দ্রভারতীর প্রাক্তন রেজিস্টারের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, এতদিন ধরে তাঁর কাজের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব ক্ষতি হয়েছে সে সমস্ত খরচ অর্থও ভবিষ্যতে তাঁকে দিতে হতে পারে। তবে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর রবীন্দ্রভারতীর প্রাক্তন রেজিস্ট্রার সুবীর মৈত্রের তরফ থেকে এখনও কোন প্রতিক্রিয়া মেলেনি।