রাজ্যের একাধিক বিষয়ে উঠে আসছে দুর্নীতির কথা। কলেজে ভর্তির (college admissions) ক্ষেত্রে দুর্নীতির ছবি বারবার বিতর্ক তৈরি করেছে। কলেজে ভর্তির নামে শুরু হয়েছে তোলাবাজি, দাদাগিরিতে বিতর্কে টিএমসি সরকার। শিক্ষা মহল থেকে বারবার অভিযোগ করে জানানো হয়েছে। এই সমস্যার একমাত্র ওষুধ কেন্দ্রীয় পদ্ধতিতে অনলাইনে ভর্তি।
এবার সেই পথেই হাঁটতে চলেছে সরকার। কলেজে ভর্তিতে চালু হতে চলেছে কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইন পদ্ধতি। এই বিষয়ে নবান্ন থেকে সবুজ সংকেত পাওয়া গিয়েছে। বিতর্ক ঢাকতে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমতি মিলেছে। আগামী সপ্তাহেই বৈঠকে বসবে শিক্ষা দফতর।
কীভাবে এই পদ্ধতিটিকে লাগু করা যায়। এখনও অনলাইনে ভর্তি করা হয় কিন্তু সেই ব্যবস্থা কলেজভিত্তিক। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইন ব্যবস্থা কার্যকর করতে, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে যতগুলি কলেজ রয়েছে সবকটির ক্ষেত্রে বিষয় ভিত্তিক একটি মেধাতালিকা তৈরি করা হবে। ফলে সমস্ত প্রার্থীরাই জানতে পারবেন কোন কলেজে সুযোগ পাওয়ার যোগ্যতা রয়েছে। আর এর ফলে কোনও পড়ুয়াকেই আর দুর্নীতির খপ্পরে পড়তে হবে না।
এই বিষয়ে এক শিক্ষক জানিয়েছেন, দুর্নীতির ব্যাপার যেমন সরে যাবে, একই সঙ্গে একজন পড়ুয়া চারটে পাঁচটা কলেজে ভর্তি হয়ে যে সিট আটকে রাখে সেই ব্যাপারটিও অনেকটা কমে আসবে। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন এতেও কি দুর্নীতি কমবে।
২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর শিক্ষা দফতরের দায়িত্ব পেয়েছিলেন ব্রাত্য বসু। তখনই ঠিক হয়েছিল কেন্দ্রীয়ভাবে ভর্তি হবে অনলাইনে। কিন্তু দ্বিতীয়বার শিক্ষা দফতরের দায়িত্ব চলে যায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাতে। তখনই আটকে যায় পুরো পদ্ধতি। তৃতীয়বার ফের ব্রাত্য বসুর হাতে এসেছে শিক্ষা দফতর। প্রশ্ন উঠছে এবার কি লাগু করা হবে কেন্দ্রীয়ভাবে ভর্তির পদ্ধতি!